/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/Ghazipur-Border.jpg)
কৃষক আন্দোলন কী? কেন তাঁরা দু' মাসের বেশী সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে বসে? বিদ্রোহের সংজ্ঞা কী? ছোটদের করা এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ছুটির দিন দলে দলে সিঙ্ঘু সীমান্তে নাগরিকরা। দিল্লির অধিকাংশ পরিবার প্রতি রবিবার এখন ছোটদের নিয়ে জমায়েত করছে সিঙ্ঘু সীমান্তে।
আন্দোলন দমনে সিঙ্ঘু সীমান্ত এখন দূর্গ। একাধিক কৃষক নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। গ্রেফতার হয়েছে কয়েকজন।
এই আবহে কৃষক বনাম সরকার দ্বন্দ্ব যত বাড়ছে, ততই এই আন্দোলন নিয়ে ছোটদের মধ্যে উৎসাহ বাড়ছে। তাই সেই উৎসুক চোখগুলোকে নিয়েই সিঙ্ঘু সীমান্তে ভিড় বাড়াচ্ছেন দিল্লিবাসী।
রবিবার বিকেলের সিঙ্ঘু এখন যেন একটা পর্যটকস্থল। তবে শুধু দিল্লি নয়, এনসিআর আওতাধীন অন্য রাজ্যগুলো থেকেও ভিড় বাড়ছে সিঙ্ঘু সীমান্তে। গত রবিবার পরমজিৎ সিং পরিবার নিয়ে সিঙ্ঘু সীমান্তে এসেছিলেন। পূর্ব কৈলাসের ক্যাব সার্ভিস সেন্টারের মালিক পরমজিৎ এসেছিলেন স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে। পরমজিতের দুই সন্তানই কিশোরী। সিঙ্ঘু সীমান্ত ঘোরার ফাঁকে ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, 'গত সপ্তাহে আসতে পারিনি। হিংসার পরিবেশ ছিল। তাই পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে গত সপ্তাহ আসতে পারিনি। কিন্তু আমি চাই আমার সন্তানরা জানুক কীসের এই আন্দোলন। ভবিষ্যতে আদৌ তাঁরা এই ধরনের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হবে কিনা, সেটা নিজের চোখে দেখে নেওয়া উচিত। তাই আমরা এই সপ্তাহে চলে এলাম। আমার এক বন্ধু খালসা সেবা সমিতির সদস্য। সে-ই বললো পরিস্থিতি এখন অনেক শান্ত। তাই ঘুরতে চলে এলাম।'
পরমজিৎ আরও বলেন, 'আমাদের সন্তানরা জানুক কৃষকদের কোথায় সমস্যা? সরকারকে তাঁরা কী বলতে চায়? কেন এই বিক্ষোভ?'
এদিন সিঙ্ঘু সীমান্তে স্বরণ কৌরের পরিবারকে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। পঞ্জাবের ফতেপুর থেকে তাঁরা সিঙ্ঘু এসেছেন। এই সফর প্রসঙ্গে স্বরণের দাবি, 'প্রথম থেকেই আমাদের সন্তানদের মধ্যে এই আন্দোলন নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে। ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পর সেটা আরও বাড়ে। ওরা দেখতে চেয়েছিল কেন কৃষকরা আন্দোলন করছে। তাই নিয়ে চলে এলাম। শুধু সংবাদমাধ্যমে বিশ্বাস না করে নিজের চোখেও দেখা উচিত। আমার স্বামী ব্যবসায়ী। কিন্তু আমরা প্রত্যেকে কৃষক পরিবারের সন্তান।'