ডেল্টা ও ডেল্টা প্লাস নিয়ে সতর্ক রয়েছে কেন্দ্র। পুণে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে কোভিডের ভাইরাস প্রজাতির নমুনার জিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশ্লেষণ চলছে। এরপর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা একটি বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন যে ভ্যাকসিনের একটি ডোজে কোনও সুরক্ষা তৈরিই হচ্ছে না।
কোভিড -১৯ টাস্কফোর্সের সদস্য ডাঃ শশাঙ্ক যোশী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "ভ্যাকসিনযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশিরভাগ সংক্রমণ ভ্যাকসিনের এক ডোজ পরে ঘটে। ভ্যাকসিনের একটি ডোজ মানুষকে ভুয়ো সুরক্ষা দিচ্ছে। তারা দেহের প্রাথমিক অনাক্রমতা কমিয়ে দেয়। দুটি ভ্যাকসিন দেওয়ার দুই সপ্তাহ পরেই কিছুটা অনাক্রম্যতা থাকে মাত্র। তাই এক্ষেত্রে আরও সজাগ হওয়ার দরকার রয়েছে বলেই জানান হয়েছে।"
চিকিৎ সক শশাঙ্ক যোশী বলেন, "বর্তমান যে ট্রেন্ড রয়েছে দেশে তা খুব আশা জাগাচ্ছে না। করোনা বিধি নিষেধে আরও কঠোর হতে হবে। এই কারণে সংক্রমণের হারও বেশি অনেকটাই। দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যাকে দুটি ভ্যাকসিন না দেওয়া পর্যন্ত নিয়ম মেনে চলা উচিত।"
মহারাষ্ট্রের একাধিক এলাকায় উদ্বেগ বৃদ্ধি হচ্ছে। কোলাপুর, সাঙ্গলি সাতারা, রত্নগিরি, সিন্ধুধুর, পুনে এবং অন্যান্য অঞ্চল নিয়ে চিন্তায় রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ৩৮.৬ কোটির মতো টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আরও ১১,২৫,১৪০ ডোজ প্রদান করা হবে। সবমিলিয়ে মানুষকে ৩৭.১৬ কোটির মতো টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ১.৪৪ কোটি টিকার ডোজ এখনও অব্যবহৃত হয়ে পড়ে আছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন