কালবুর্গি ও গৌরি লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। চলতি বছরের শুরুর দিকেই বেলাগাভির প্রকাশ থিয়েটারে 'পদ্মাবত' প্রদর্শনের 'অপরাধে' হামলা চালিয়েছিল প্রবীন প্রকাশ চতুর ওরফে মশালাওয়ালা। এপ্রিলেই বেলাগাভি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ২৭ বছরের এই তরুণকে। অন্যদিকে, হুবলি থেকে সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশ হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল অন্য এক তরুণকে। সিটের তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তিই ২০১৫-র আগস্টে কালবুর্গি হত্যার সঙ্গে জড়িত।
কর্ণাটকে ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী কালবুর্গি হত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিলেন। সেই সিট-এর তরফে গত সপ্তাহের শুক্রবার চতুরকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। জানা গিয়েছে, দক্ষিণপন্থী হিন্দু সংগঠন সনাতন সংস্থার সদস্য চতুর। সিটের তদন্তে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধারওয়াডে-তে নিজের বাড়ির দরজায় খুন হতে হয়েছিল কালবুর্গিকে। প্রখ্যাত এই অধ্যাপক হত্যায় জড়িত দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম গণেশ মিশিকিন।
কালবুর্গি-ঘাতক পরশুরাম ওয়াঘমোরেকে মোটর সাইকেলে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গত বছরের নভেম্বরে এই গণেশকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপরই রাজ্যের গোয়েন্দারা গ্রেফতার করে তাকে। গত সপ্তাহে লঙ্কেশ-হত্যাকাণ্ডের লিঙ্কম্যান এবং কালবুর্গি খুনের অন্যতম অভিযুক্ত অমোল কালে-কে গ্রেফতার করার পরেই চতুরকে যে সিট নিজেদের হেফাজতে চাইবে, তা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, কালবুর্গি হত্যায় জড়িত থাকা সত্ত্বেও যে পাঁচজন সরাসরি গৌরি লঙ্কেশ খুনে অভিযুক্ত নয়, সেই তালিকায় চতুর-ই হল প্রথম, যাকে সিট নিজেদের হেফাজতে নিল।
শনিবার সিটের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশে ৭ জুন পর্যন্ত সিটের হেফাজতে থাকছে চতুর। এর মধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাবেন সিটের আধিকারিকরা।
Read the full story in English