উপত্যকায় আবারও জঙ্গি দমন অভিযানে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। বুধবার সন্ধেয় দক্ষিণ কাশ্মীরে পৃথক দুটি এনকাউন্টারে ৬ জইশ জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। নিহতদের মধ্যে দুই জঙ্গি পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জনা গিয়েছে। এনকাউন্টারে দুই জওয়ান ও এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনকাউন্টারে নিহত ৬ জঙ্গির মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিরা পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-এ তইবার সদস্য ছিল। নিহত দুই জঙ্গি পাকিস্তানের বাসিন্দা। নিহত অন্য দু'জন স্থানীয় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এখনও নিহত বাকি দুই জঙ্গির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
''আমাদের জন্য এটি একটি বড় সাফল্য'', এমনই বলেছেন জম্মু কাশ্মীর পুলিশের আইজি বিজয় কুমার। বুধবার সন্ধেয় পুলিশ, সেনা ও আধা-সেনার একটি যৌথ দল অনন্তনাগের নওগাঁ শাহবাদ এলাকায় অভিযানে যায়। ওই এলাকায় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল নিরাপত্তাবাহিনী।
নিরাপত্তাবাহিনী এলাকায় পৌঁছতেই তা টের পেয়ে যায় জঙ্গিরা। তবে আগে থেকে পুলিশ-সেনার দলটি গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল। সেই নিরাপত্তা-বেস্টনী ভেদ করে বাইরে পালানোর উপায় কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল জঙ্গিদের কাছে। পালানোর সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে দেখে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
সেই বিস্ফোরণে দুই জওয়ান ও এক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। এরপরই নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনা-পুলিশের যৌথ দল। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই। শেষমেশ নিরপত্তাবাহিনীর গুলিতে তিন জইশ জঙ্গি নিহত হয়।
আরও পড়ুন- এখনই কড়া বিধি-নিষেধ নয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কের কারণ নেই
অনন্তনাগের নওগাঁয় এই এনকাউন্টার চলাকালীন কুলগামের মিরহামা এলাকাতেও জঙ্গি ডেরার খবর পেয়ে অভিযানে যায় নিরাপত্তা বাহিনীর অন্য একটি দল। গোটা এাকা ঘিরে ফেলে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। গোপন ডেরা থেকে লুকিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা গুলিতে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। উপত্যকায় সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গি গতিবিধি বেড়ে গিয়েছে। এর আগে রবিবার দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলায় পৃথক তিনটি এনকাউন্টারে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছে।
Read full story in English