গত ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে ছয় লক্ষাধিক মানুষ বিপর্যস্ত হয়েছেন। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র। শিকেয় উঠেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। কাজ করছে না মোবাইল ফোনও। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে।
তার মধ্যেই দেশের উত্তর-পূর্ব এবং উত্তরাঞ্চলের নদীগুলোর জলস্তর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া দফতরের জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘ দেশের চারটি প্রধান নদীতে জল এখন বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে বইছে। ফলে, দুকূল ছাপিয়ে বইছে ওই সব নদীগুলো। ২০০৪ সালের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু, এবারের বন্যা সেই পরিস্থিতিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।’
বহু মানুষ প্রাণভয়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু, জল যেভাবে বাড়ছে তাতে বাড়ির ছাদও নিরাপদ বলে মনে করতে পারছেন না বাংলাদেশবাসী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারকাজে সেনা নামানো হয়েছে। বহু জায়গায় নৌকোয় চেপে গিয়ে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা বন্যাদুর্গতদের ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন- কাস্পিয়ান সাগরের ওপর ওটা কী! এখনও রহস্যের অন্ধকারে নাসার বিজ্ঞানীরা
তবে, এখনও অনেক মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যাঁদের উদ্ধার করা যায়নি, তাঁদের সন্ধান থাকলে সেনাবাহিনীকে সেই খবর জানানোর অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। একই অনুরোধ করতে শোনা গিয়েছে জয়া আহসান-সহ বাংলাদেশের শিল্পীদেরও।
ইতিমধ্যেই বন্যায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। তবে, সংখ্যাটা ঠিক কত, তা এখনও বাংলাদেশ সরকার জানাতে পারেনি। শুধু জানা গিয়েছে, সরকারি মতে বাংলাদেশে বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯। তার মধ্যেই চলছে বৃষ্টি। ফলে জল বৃদ্ধির সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আরও বাড়ছে।
তবে, শুধু বাংলাদেশই না। সংলগ্ন ভারতের মেঘালয়-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতেও ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে ওই সব অঞ্চলেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানেও উদ্ধারকাজে সেনা নামানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সিলেটে আবার বন্যার জলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে ডুবে গিয়েছে। রাস্তাগুলো এখন বেশ কয়েক ফুট জলের তলায়। ফসলের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণে গবাদি পশুরও ক্ষতি হয়েছে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।
Read full story in English