দেশে করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হিসেবে ছয় জনের হদিশ মিলেছে। সোমবার এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক সূত্রে খবর, ব্রিটেন স্ট্রেনে আক্রান্ত হিসেবে দেশে ১৮৭ জনের হদিশ মিলেছে। ৫ জন দক্ষিণ আফ্রিকান স্ট্রেন আর ১ জন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রেনে আক্রান্ত। এখনই সতর্ক না হলে এই দুটি স্ট্রেন আগামি দিনে আরও ভয়াবহ অতিমারি দেকে আনতে পারে। সম্প্রতি এমন দাবি করেছেন গবেষকরা। যদিও এই দুটি স্ট্রেন কেরল ও মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বারার নেপথ্যে কিনা, তা জানা যায়নি। এদিন জানান নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পাতিল।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, দেশে এখন গড় সংক্রমণের হার ৫.১৯%। প্রতিদিন এই হার কমার লক্ষ্মণ মিলেছে। তিনি জানান, ‘দেশের মোট সক্রিয় সংক্রমণের ৭৫% কেরল আর মহারাষ্ট্রের। ৩৮% সক্রিয় সংক্রমণ কেরলের আর ৩৭% মহারাষ্ট্রের।‘
তবে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উদ্বেগ টিকাকরণ অভিযান শুরুর পরেও দেশে করোনা সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। বরং নতুন বছরের নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে গোটা দেশ জুড়ে নয়, মূলত ৫টি রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধিরই প্রভাব পড়েছে জাতীয় করোনা-চিত্রে।
মহারাষ্ট্র ও কেরলের পাশাপাশি পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিসগড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ফলে ফের আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪২১। বৃদ্ধির হার ৩ শতাংশের বেশি।
গত বছরের নভেম্বরের শেষ পর্বের পর ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার তিন শতাংশ পেরোল বলে সরকারি পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। গত, ২৭ নভেম্বর সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৩.৮৫ শতাংশ। গত সপ্তাহের গোড়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধির হার নেমে এসেছিল ১.৫৭ শতাংশে। কিন্তু তার পর থেকেই তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে।
অপরদিকে, ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ পর্যালোচনা করে পাঞ্জাবে নতুন কোভিড বিধি লাগু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। জানা গিয়েছে, বদ্ধ জায়গায় সর্বাধিক ১০০ জন জমায়েত করতে পারবেন। আর খোলা জায়গায় সর্বোচ্চ ২০০ জন জমায়েত করতে পারবেন। পাশাপাশি মাস্ক পরা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় বাধ্যতামুলক। এমনটাই সুত্রের খবর।