কুকুর তাড়া করেছিল ছোট্ট ছেলেটিকে। দৌড়তে গিয়ে সে পড়ে যায় ৯৫ ফুট গভীর কুয়োয়। শেষ পর্যন্ত এনডিআরএফ ও ভারতীয় সেনার প্রচেষ্টায় দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পড়ে উদ্ধার করা হয় ৬ বছরের শিশুটিকে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে মারা যায় সে। পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুরে ঘটেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময়ই হটাৎ করেই কুকুরের তাড়ায় দৌড়াতে দৌড়াতে বস্তা চাপা একটি কুয়োয় পড়ে যায় ছেলেটি। তার পক্ষে বোঝা সম্ভব হয়নি ওখানে একটি কুয়ো রয়েছে। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পড়ে উদ্ধার করা হয় ৬ বছরের শিশুটিকে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জান গিয়েছে মৃত শিশুর মা-বাবা শ্রমিকের কাজ করেন। তার মা বিমলা দেবী উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে আসেন। ওপর থেকে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে কথাও বলেন ছেলের সঙ্গে। ছেলের গলা শুনে সাময়িক স্বস্তি পেলেও নিমেষেই তা গবীর কুয়োয় মিলিয়ে যায়।
সকাল থেকে উদ্ধারকার্যের তদারকিতে ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন হোশিয়ারপুরের জেলাশাসক, সন্দীপ হংস। তিনি বলেন, "ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। বেশ কয়েকঘন্টা শিশুটিও বাঁচার লড়াই জারি রেখেছিল"। তিনি আরও জানান, 'কুয়োর ভিতরে পাইপের সাহায্যে অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হল না'।
আরও পড়ুন: বাচ্চাদের স্কুল ফি জোগাড়ে খুন, পুলিশের জালে অভিযুক্ত
এই ঘটনায় ছেলেটির পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে পাঞ্জাব সরকার। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দেহটি উদ্ধার করে ময়াতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান খবর নেন ছেলেটির উদ্ধারকাজের ব্যাপারে। তিনি টুইট করে জানান, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন তিনি। শিশুটি উদ্ধার হওয়ার পরে যাতে তার চিকিৎসা সঙ্গে সঙ্গে শুরু করা যায়, সেজন্য তৈরি করা হয় মেডিক্যাল টিমও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব লড়াই ব্যর্থ হল।
Read full story in English