দক্ষিণের কর্ণাটকে ১৬ লক্ষেরও বেশি একই ছবির ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘটনা সংখ্যালঘুদের ওপর নিশানা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আলাদা ভোটার কার্ডে একই ব্যক্তির ছবি লাগানো হয়েছে কি না, তা নির্বাচন কমিশন যাচাই করে। ভোটার কার্ডের ত্রুটি দূর করতে এই যাচাইয়ের কাজ করা হয়। সেখানেই ১৬ লক্ষ ভুয়ো ভোটার আইডি কার্ড থাকার কথা জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশন এবছরের নভেম্বরে সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই সময় বছর ৪২-এর মাজরা (নাম পরিবর্তিত) তালিকায় নাম না-দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েন। চিকপেট বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অতীতে একাধিক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মাজরা। তার পর আচমকা কমিশনের তালিকা থেকে বাদ কীভাবে! বিষয়টা জানতে বেঙ্গালুরু মহানগর পালিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেন মাজরা। জানতে চান, কেন তাঁর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেল?
এর আগে ২০১৮ সালে মাজরার নাম অন্য বুথের তালিকায় চলে গিয়েছিল। সে নিয়ে কম হ্যাপা পোহাতে হয়নি। এবারের অবস্থা তো আরও খারাপ। আশপাশের কোনও বুথের ভোটার তালিকাতেই মাজরার নাম নেই। তিনি এই ব্যাপারে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জবাবে কমিশনের আধিকারিকরা তাঁকে নতুন ভোটার আইডির জন্য আবেদন করতে পরামর্শ দিয়েছেন।
এই ব্যাপারে মাজরা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'আমি কমিশনের কর্তার কাছে জানতে চাইলাম, কেন তালিকা থেকে আমার নাম বাদ গেল? ওঁদের এক আধিকারিক বললেন যে আমার ভোটার আইডি 'ফোটো-সিইলার' বিভাগের অধীনে ফ্ল্যাগ করা হয়েছিল। আর, এই জাতীয় নামগুলো তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। আমি আমার আত্মীয়ের সঙ্গে তিন দশকেরও বেশি সময় একই ঠিকানায় বাস করছি। মজার কথা হল, তেমন দুই আত্মীয়ের নাম ভোটার তালিকায় আছে। শুধু আমারটাই বাদ গেছে।'
আরও পড়ুন- গুজরাট গণধর্ষণ-কাণ্ডে অভিযুক্তদের মুক্তির বিরুদ্ধে মামলা, কারণ না-জানিয়ে সরলেন বিচারপতি
ভোটারদের নাম এভাবে তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে কেন? প্রশ্নটা যেন লুফে নিলেন কর্ণাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার মিনা। তিনি বলেন, 'গোটা কর্ণাটকে প্রায় ৩৫ লক্ষের মত ভুয়ো ভোটার আইডি কার্ড পাওয়া গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে একই লোকের ফোটো বেশ কয়েকটি ভোটার পরিচয়পত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আবার দেখা গিয়েছে, কোনও ভোটারের নাম একাধিক বুথে রয়েছে। এই সব কারণেই সংশোধিত ভোটার তালিকা থেকে ওই সব ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয় হয়েছে।'
Read full story in English