Advertisment

নতুন কৃষি বিলের খসড়ায় সন্তুষ্টি! কৃষক আন্দোলনে ইতি টানতে লক্ষ্মীবারে বৈঠক

Farmers Protest: এযাবৎকাল কৃষকদের তরফে করা সব দাবি পূরণের ইঙ্গিত রয়েছে নতুন খসড়ায়। তারপরেই আন্দোলন নিয়ে নরমপন্থী অবস্থান নিতে শুরু করেছে কৃষক সংগঠনগুলো।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Farmers Protest

দীর্ঘ এক বছরের আন্দোলনের সুফল পেয়েছেন কৃষকরা।

Farmers Protest: এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে ইতি টানার ইঙ্গিত দিলেন কৃষক নেতারা। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার তরফে বুধবার এক বিবৃতিতে এমন সম্ভাবনা তৈরি করা হয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘নতুন কৃষি বিলের খসড়া সরকার আমাদের পাঠিয়েছে। সেটা দেখে আমরা সন্তুষ্ট। লিখিত আকারে সেই খসড়া আমাদের কাছে পৌছনোর অপেক্ষা করছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমরা আন্দোলনে ইতি টানা নিয়ে বৈঠকে বসব। আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সবপক্ষই নতুন বিলের খসড়া নিয়ে সম্মতি জানিয়েছে।‘

Advertisment

জানা গিয়েছে, এযাবৎকাল কৃষকদের তরফে করা সব দাবি পূরণের ইঙ্গিত রয়েছে নতুন খসড়ায়। তারপরেই আন্দোলন নিয়ে নরমপন্থী অবস্থান নিতে শুরু করেছে কৃষক সংগঠনগুলো।

এদিকে, বছরভর চলা কৃষক আন্দোলনে কতজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সংসদে এই প্রশ্নের জবাবে, তথ্য নেই বলে দায় এড়িয়েছে কেন্দ্র। এবার এই জবাবকেই হাতিয়ার করে আসরে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। গত সপ্তাহে এক সাংবাদিক বৈঠকে এক বছর ধরে চলা কৃষক বিক্ষোভে মৃত ৪০০ কৃষকের নাম প্রকাশ্যে আনেন। তাঁর দাবি, ‘পঞ্জাব সরকার এই কৃষকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। কেন্দ্রের সরকার দাম্ভিক ও অমানবিক। তারা কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না। কৃষক আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চায় না।‘

তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘একজন প্রধানমন্ত্রীর এমন আচরণ করতে পারে না। অত্যন্ত অনৈতিক, অসন্তুষ্ট এবং ভয়ে পিছিয়ে যাওয়ার মতো আচরণ।‘

পাশাপাশি আন্দোলনের চাপে পিছু হটেছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নিজে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহেরর ঘোষণা করেছেন। যা অনুমোদনও পেয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তাসত্ত্বেও দিল্লি সীমানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসে রয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। তাঁদের দাবি, সংসদের উভয় কক্ষে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভস্থল ছেড়ে যাবেন না। এই প্রেক্ষাপটে গত মাসে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার আন্দোলনকারী কৃষকদের দিল্লি সীমানা ছেড়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছেন। তাঁর আশ্বাস, শীতকালীন অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করা হবে। সুতরাং কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই।

সেই মোতাবেক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদি সরকার। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণার পরও এভাবে কৃষকদের বসে থাকার কোনও কারণ নেই। আমার আন্দোলনকারীদের কাছে আবেদন, এবার ধর্না অবস্থান তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।’

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Farmers Protest SKM Draft Bill
Advertisment