‘ছোট পোশাকই ধর্ষণের জন্য দায়ী’, এইচবিও-র সাক্ষাৎকারে মন্তব্য Imran Khan-র

Pakistan PM: ‘কোনও মহিলা স্বল্প পোশাক পরলে, সেটা ছেলেদের ওপর প্রভাব ফেলে। একমাত্র যদি কেউ রোবট না হয়। এটা সাধারণ জ্ঞান।‘

Pakistan PM: ‘কোনও মহিলা স্বল্প পোশাক পরলে, সেটা ছেলেদের ওপর প্রভাব ফেলে। একমাত্র যদি কেউ রোবট না হয়। এটা সাধারণ জ্ঞান।‘

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Imran Khan, Pakistan

এই সাক্ষাৎকারে দেশের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষানীতি নিয়ে কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ফাইল ছবি

বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরের শিরোনামে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Pakistan PM)। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম এইচবিও-র জনাথন সোয়ানকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পড়শি দেশের প্রধানমন্ত্রী। ২০ জুন সম্প্রচারিত সেই সাক্ষাৎকারে তিনি মন্তব্য করেন,’মহিলাদের ছোট পোশাক যৌন নিগ্রহের (Sexual Violence) জন্য দায়ী।‘ তাঁর দাবি, ‘কোনও মহিলা স্বল্প পোশাক পরলে, সেটা ছেলেদের ওপর প্রভাব ফেলে। একমাত্র যদি কেউ রোবট না হয়। এটা সাধারণ জ্ঞান।‘ একই দাবি জিও নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করেছিলেন ইমরান খান। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, অশ্লীলতার উৎপাদন যৌন নির্যাতন। পশ্চিমি সংস্কৃতি আমদানি করেছে এই অশ্লীলতা।

Advertisment

ওই অনুষ্ঠানে এক নাগরিক তাঁকে ফোনে প্রশ্ন করেছিলেন, দেশব্যাপী বেড়ে চলা ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহ নিয়ন্ত্রণে সরকারি পরিকল্পনা কী? বাচ্চারা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত।‘ সেই প্রশ্নের জবাবেই অশ্লীলতাকে বা ফাহাসিকে ধর্ষণ এবং যৌন নিগ্রহের জন্য কাঠগড়ায় তোলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ধর্ম এবং ইসলামে পর্দার প্রচলনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন ইমরান খান।

জিও নিউজে করা মন্তব্যের স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে খান সোয়ানকে বলেন, ‘আমাদের দেশে ডিস্কোঠেক নেই, নাইট ক্লাব নেই। এই দেশের তরুণ-তরুণীদের জীবনযাপন অন্য মাত্রায় চলে। তাই আপনি যদি সমাজকে উত্তেজিত করেন তাহলে এই যুবসমাজের কোথাও যাওয়ার থাকবে না। সমাজে তার প্রতিঘাত আসবেই।‘

Advertisment

এই প্রসঙ্গে সওয়ান পাক প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন সত্যি কি স্বল্প বসন যৌন নিগ্রহের অনুঘটক? জবাবে ইমরান খান বলেন, ‘সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন সমাজে বাস করছেন। আপনাদের সমাজ হলে কোনও প্রভাব পড়বে না। যে সমাজ এই ধরণের জীবনযাত্রা দেখেনি সেখানে প্রভাব পড়বেই।‘

এই সাক্ষাৎকারে পাক সরকারের বিদেশ নীতি এবং প্রতিরক্ষা নীতি নিয়েও সরব ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা সীমান্ত পারের সন্ত্রাশবাদ মোকাবিলায় কখনই সিআইএ-কে এখানে ঘাঁটি বানাতে দেব না।‘ তবে চিন সরকারের উইঘর মুসলিমদের ওপর থাকা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সেভাবে সরব ছিলেন না ইমরান খান। তিনি বলেছেন, ‘চিনের সঙ্গে যা সমস্যা, আমরা রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিটিয়ে নেব। অতি সঙ্কটের সময় চিন আমাদের স্বাভাবিক মিত্র ছিল।‘

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন