সাত মাস পর জম্মু-কাশ্মীরে সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা উঠল। উপত্যকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বুধবারই সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
গত ১৮ই জানুয়ারি টুজি স্পিডে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। তখন অবশ্য সোশাল মিডিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়নি। সাধারণ মানুষের বাড়িতেও ফিরেনি নেট যোগাযোগ।
৫ই আগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা বাতিল করে কেন্দ্র। রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিনত করার কথা ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ভূস্বর্গের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে আদালতে মামলা হয়। তারপর অক্টোবর মাসে পোস্টপেড ফোনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও, ইন্টারনেট পরিষেবা পুরোপুরি চালু হয়নি। চলতি বছর জানুয়ারিতে সেই সম্পর্কিত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, ইন্টারনেটের অধিকার এখন মানুষের মৌলিক অধিকারের। তাই এই নিষেধাজ্ঞা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনকে এক সপ্তাহ সময় দেয় শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: শুক্রবারই দিল্লি হিংসা মামলার শুনানি, হাইকোর্টকে সুপ্রিম নির্দেশ
তার পরেই কিছুটা নমনীয় হয় প্রশাসন। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ যাতে কোনও কথা বলতে না পারেন, সেই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছিল। সাত মাস পর যা প্রত্যাহার করা হল।জানুয়ারি থেকে এতদিন সরকারি ওয়েবসাইট এবং ই-ব্যাঙ্কিংয়ের মতো পরিষেবা ছাড়া বাইরে অন্য কোনও উদ্দেশ্যে যাতে কেউ ইন্টারনেট ব্যবহার না করেন, সে দিকে কড়া নজর রাখার জন্যও প্রতিষ্ঠানগুলিকে সতর্ক করেছিল প্রশাসন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন