সোহরাবুদ্দিন সংঘর্ষ মামলা নয়া মোড় নিল। এ ঘটনার তদন্তকারী আইপিএস অফিসার রজনীশ রাইয়ের স্বেচ্ছাবসর ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়েছেন ওই আইপিএস অফিসার। চলতি মাসের ২৪ তারিখ স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন রজনীশ। বর্তমানে ছত্তিসগড়ের চিতোরে সিআরপিএফের স্কুল সিআইএটি-তে কর্মরত তিনি।
ঠিক কী কারণে স্বেচ্ছাবসর চাইলেন রজনীশ রাই? এ ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে রজনীশ রাইয়ের ঘনিষ্ঠমহল মারফৎ জানা গিয়েছে, ওই আইপিএস অফিসার শিক্ষাক্ষেত্রে যোগ দিতে চান, তাই স্বেচ্ছাবসরের আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন, ইশরাত জাহান হত্যা মামলা: প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ভানজারা ও এন কে আমিনের রেহাইয়ের আবেদন খারিজ আদালতে
সোহরবাহুদ্দিন এনকাউন্টারের ঘটনায় আইপিএস অফিসার রজনীশ রাইয়ের তদন্তে পুলিশেরই বেশ কয়েকজন আধিকারিক গ্রেফতার হন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন ডিআইজি ডি জি ভানজারা। আসামে সেনার ভুয়ো এনকাউন্টারের ব্যাপারেও রিপোর্ট করেছিলেন ওই আইপিএস অফিসার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ঘটনার তদন্তে রয়েছেন রাই। যার মধ্যে আসামের ওই এনকাউন্টারের ঘটনাও আছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে এও জানা গিয়েছে যে, তদন্তপ্রক্রিয়া প্রায় শেষের মুখে।
১৯৯২ সালের আইপিএস ব্যাচে ছিলেন রাই। ২০০৭ সালের পর থেকে গুজরাত সরকারের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি হয় ওই আইপিএস অফিসারের। সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় প্রায় ডজন খানেক পুলিশ আধিকারিকদের গ্রেফতার করা হয়। যার তদন্তে ছিলেন রজনীশ। তবে সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টারের মতো বহুচর্চিত ঘটনার তদন্তকারী অফিসারের স্বেচ্ছাবসর নিয়ে জল্পনা বাড়ছে ওয়াকিবহাল মহলে।