সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় নয়া মোড়। এ মামলায় অভিযুক্ত রাজস্থান পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল রহমান অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিনা, তার কোনও প্রমাণ নেই। এমন কী, এফআইআরে ওই ইন্সপেক্টরের কোনও সই ছিল না। সোমবার এমনই দাবি করেন ওই ইন্সপেক্টরের আইনজীবী ওয়াহাব খান। এনকাউন্টার হয়েছিল বলে কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছিল কিনা, তারও কোনও প্রমাণ নেই।
২০০৫ সালের ২৬ নভেম্বর আহমেদাবাদে ভুয়ো এনকাউন্টারের ঘটনায় ভুয়ো এফআইআর দায়ের করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইন্সপেক্টর রহমানই ওই ভুয়ো এফআইআর দায়ের করেন বলে অভিযোগ তোলে সিবিআই। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ইন্সপেক্টর। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে এ মামলায় সিআইডি তদন্তের প্রেক্ষিতে ১৩ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেন আর এইচ হাদিয়া।
আরও পড়ুন, গুজরাতে আতঙ্কে গোপন আস্তানায় ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা
এ প্রসঙ্গে ওই মামলায় অভিযুক্ত ইন্সপেক্টরের আইনজীবী আরও দাবি করেন যে, হাদিয়ার তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনওরকম শানাক্তকরণের জন্য পরীক্ষা করা হয়নি। তাছাড়া রহমানই এফআইআর লিখেছিলেন কিনা, সে ব্যাপারে তাঁর হাতের লেখা নিয়ে কোনও বিশেষজ্ঞের পরামর্শও নেওয়া হয়নি। এমনকি, এটিএস আধিকারিকদের বয়ানও নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, এটিএস আধিকারিকদের অফিসেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল বলে খবর। এ প্রসঙ্গে হাদিয়া অবশ্য বলেছেন, "এটা ঠিকই যে, কে অভিযোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন কিংবা কে অভিযোগপত্র টাইপ করেছেন, তার কোনও প্রমাণ নেই।"
এ মামলার অন্যতম প্রধান সাক্ষী নাথুভাই জাদেজা হলফনামা পেশ করেন। তার প্রেক্ষিতে গতবছর নিম্ন আদালতের শুনানি পর্বে ভোল বদলান তিনি। হাদিয়া জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি বলেছেন যে, তাঁর কিছু মনে নেই। উল্লেখ্য, জাদেজা আগের বয়ান দিতে গিয়ে দাবি করেছিলেন যে, এনকাউন্টার হয়েছিল। কিন্তু পরে সিআইডি-কে তিনি জানান যে, এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল। এরপরই তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ও হলফনামা পেশ করে জানান যে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মিথ্যা বয়ান দেওয়ার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হয়।
Read the full story here in English:Sohrabuddin ‘fake’ encounter case: ‘No proof to show FIR stating encounter to be genuine was not signed by complainant’