বম্বে হাইকোর্ট সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় গুজরাটের ডিআইজি ডি জি ভানজারাকে মুক্তি দিল। মুক্তি দেওয়া হয়েছে আইপিএস অফিসার দীনেশ এম এন এবং রাজকুমার পাণ্ডিয়ান সহ মোট ৬ পুলিশ কর্মীকে। ২০০৫-০৬ সালে সোহরাবুদ্দিন শেখ, তাঁর স্ত্রী কৌসর বাই ও তাঁদের সহযোগী তুলসীরাম প্রজাপতিকে সংঘর্ষে হত্যা করা হয়। গুজরাটের আইপিএস অফিসার বিপুর আগরওয়ালের মুক্তির আবেদনপত্রও অনুমোদন করেছে বম্বে হাইকোর্ট।
আদালতে ভানজারা ও দীনেশ এম এম-এর মুক্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছিলেন সোহরাবুদ্দিনের ভাই রুবাবুদ্দিন, রাজস্থানের পুলিশ কনস্টেবল দলপত সিং ও গুজরাট পুলিশের আধিকারিক এন কে আমিনের মুক্তির বিরুদ্ধে আবেদন করেছিল সিবিআই। মুকিতির বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ৬টি আবেদন জমা পড়েছিল আদালতের কাছে। তার সবকটিকেই খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন, Ishrat Jahan Case: সাদা দাড়ি ও কালো দাড়িকে গ্রেফতার করতে চেয়েছিল সিবিআই: আদালতে বিস্ফোরণ ভানজারার আইনজীবীর
৬টি আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছিল ৪ জুলাই। অগাস্ট মাসে এ ব্যাপারে রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন বিচারপতি এ এম বদর।
প্রথম শুনানির সময়ে রুবাবুদ্দিনের আইনজীবী গৌতম তিওয়ারি ২০১৬-র ২৫ অগাস্ট নিম্ন আদালত পাণ্ডিয়ানকে খালাস করে দেওয়ার বিরুদ্ধে সওয়াল করেন। এ ব্যাপার মূল সাক্ষী পুলিশ ড্রাইভারের বয়ানের দিকে তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, দীনেশ এম এন-এর আইনজীবী রাজা ঠাকরে আদালতে বলেন, নিম্ন আদালতে ওই সাক্ষী ইতিমধ্যেই বয়ান বদল করেছে। তিওয়ারি তখন আদালতে বলেন, যেহেতু এখন পাণ্ডিয়ানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হচ্ছে, ফলে নিম্ন আদালতে সাক্ষীর আচরণ বিবেচ্য হবে না।
বিচারপতি এ এম বদরও এ মামলায় বহু সাক্ষীর বয়ান বদলের বিষয়টি নজরে রেখেছিলেন। ‘‘আমরা সংবাদপত্রে দেখেছি... সবাই বয়ান বদল করছে।’’ বিচারপতি এও বলেছিলেন, বিবাদী পক্ষকে এর সুবিধা নিতে দেবেন না তিনি।
এই আবেদনগুলির শুনানির সময়ে অনেকবারই বিচারপতি বদর সিবিআই-এর কাছে সাক্ষীদের অবস্থার কথা জানতে চেয়েছিলেন। শুনানির সময়ে সিবিআই স্পষ্ট ভাষায় আদালতকে জানিয়ে দেয় বানজারা, পাণ্ডিয়ান ও দীনেশের মুক্তির ব্যাপারে তাদের আপত্তি নেই।