Advertisment

'বিলকিসের গণধর্ষকরা সংস্কারী ব্রাহ্মণ', বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্কে ঘি

সি কে রাউলজির ওই ভিডিওটি টিআরএস নেতা ওয়াই সতীশ রেড্ডি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'আর কত নীচে নামবে বিজেপি।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
SC dismisses Bilkis Bano plea seeking review of order allowing Gujarat government decide on convicts remission, বিলকিসের সুপ্রিম ধাক্কা, ১১ ধর্ষক ও খুনির মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় আর্জি খারিজ

বিলকিস বানো।

বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে উত্তাল দেশ। বিরোধীদের প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি মোদী সরকার। এরমধ্যেই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি বিধায়ক। জানালেন কেন বিলকিস বানো গণধর্ষকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

বিজেপি বিধায়ক সিকে রাউলজি বলেছেন, 'ওই ১১ জন কোনও অপরাধ করেছে কি না জানা নেই। কিন্তু নিষ্চই অপরাধ করার উদ্দেশ্য ছিল। তারা ব্রাহ্মণ, সংস্কারী, ভালো মানুষ। এও হতে পারে যে ওই ১১ জনকে কোণঠাসা করা এবং শাস্তি দেওয়া কারও খারাপ উদ্দেশ্য হছিল।' এছাড়াও তাঁর সংযোজন, 'সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারকে তাঁদের (দণ্ডপ্রাপ্তদের) আচরণ দেখে (তাদের দ্রুত মুক্তির বিষয়ে) সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছিল। এরপর সরকার জেলরকে জিজ্ঞাসা করেছি এবং জেনেছে যে কারাগারে তাঁদের আচরণ ভাল ছিল। এছাড়াও (অভিযুক্তদের মধ্যে কিছু) ওদের অনেকে ব্রাহ্মণ। তাদের ভালো 'সংস্কার' (মূল্যবোধ) আছে।'

সিকে রাউলজির ওই ভিডিওটি টিআরএস নেতা ওয়াই সতীশ রেড্ডি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'আর কত নীচে নামবে বিজেপি।'

২০০২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণে সাজাপ্রাপ্তদের স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি দেওয়া হয়। গোধরা কাণ্ডের পর বিলকিস বানোর পরিবারের ৭ জন সদস্যকে হত্যা এবং গর্ভবতী বিলকিসকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ওই ১১ জন। ঘৃণ্য অপরাধের দায়ে অপরাধীদের যাবজ্জীবন সাজা হয়। এহেন অপরাধীদের কেন দেশের স্বাধীনতা দিবসের দিন ছাড়া হল তা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে ২০০৪ সালে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিশেষ সিবিআই আদালত বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার দায়ে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ১১ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তবে দোষীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই বছরই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পঞ্চমহলের কালেক্টরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন হয়। এই কমিটিতে সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের কারাবাসে মেয়াদ কমানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

Bilkis Bano
Advertisment