রবিবার থেকে বঙ্গ সফরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিন দুটি প্রচারসভা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। দুটি সভা থেকেই শীতলকুচি গুলি চালনা-কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানিকে দায়ী করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি মেরুকরণ প্রশ্নে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রীকে।
এদিকে, বাংলায় নির্বাচনের দামামা যবে থেকে বাজতে শুরু করেছে, তবে থেকেই বিজেপির শীর্ষ নেতারা দাবি করছেন, ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসছে BJP। এমনকি প্রথম তিন দফার ভোটে কমবেশি ৬৫-৬৮টি আসন পাবে বিজেপি। এমন দাবি করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তবে, বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় এলে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে? সে নিয়ে জল্পনা জারি থেকেছে। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বহিরাগত তকমা এঁটে দিয়ে চাল দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপর আসরে নামতে হয় নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), অমিত শাহদের। জানাতে হয়, 'বহিরাগত' কেউ নয়, বাংলায় বিজেপি ক্ষমতায় এলে একজন ভূমিপুত্রের হাতেই থাকবে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব।‘ এবার দলের কর্মীসভাতেও একথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে শাহ বলেন, 'বাংলার ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।' বাংলায় নির্বাচনের আবহে মোদী-শাহ থেকে দিলীপ ঘোষ, বারবারই এই প্রশ্নে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। এমনকী ভোটের ফলের আগে তা ঘোষণার সুযোগও নেই বলেই অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
কখনও দিলীপ ঘোষ, কখনও স্বপন দাশগুপ্ত, কখনও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া মিঠুন চক্রবর্তী, আবার কখনও শুভেন্দু অধিকারী-- বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী মুখ নিয়ে বারবার আলোড়ন উঠেছে। একটা সময় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও আলোড়ন উঠেছিল। তবে, সে সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন সৌরভ নিজেই। তারপর থেকে কে সেই 'ভূমিপুত্র', তা নিয়ে জল্পনা এখনও থামেনি।
সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও বলেছেন , 'বাংলার ভূমিপুত্রই এখানকার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। ২ মে বিজেপির ঐতিহাসিক জয়ের পর সোনার বাংলা গড়তে এখানকার ভূমিপুত্রকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।' আবার কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে রেখেও তিনি ওই এক কথাই বলেছেন। হুগলির হরিপালের সভা থেকেও তিনি জানান, 'বাংলায় যেদিন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন, সেদিন আমি বাংলায় আসব।'
তবে, জল্পনা সবথেকে বেশি ছড়িয়েছিল দিনকয়েক আগে মোদির খড়গপুরের সভা থেকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দরাজ প্রশংসা করেন মোদি। প্রার্থী করা না হলেও প্রধানমন্ত্রীর মুখে দিলীপের সম্পর্কে 'অপ্রত্যাশিত' প্রশংসা নতুন জল্পনায় ইন্ধন দেয়। সম্প্রতি দিলীপ নিজেও বলেন, 'বিধায়কই যে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তার কোনও মানে নেই।' অর্থাৎ জয়ী বিধায়কের পরিবর্তে অন্য কোনও নেতাকেও মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে জল্পনা উসকে দেন তিনি। তাহলে কি তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন? এই প্রশ্নের অবশ্য উত্তর দেননি দিলীপ ঘোষ।