মা কোভিড পজিটিভ। ভর্তি হাসপাতালে। এরই মধ্যে হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭৮ বছরের বাবা। নাগপুর প্রবাসী ছেলে মহারাষ্ট্রের আকোলায় আসতে পারবেন না বলে দায় ঝেড়েছে। বাবার দেহ নিতে অস্বীকার করেছে সে। তাহলে? মানবিকতার টানেই বৃদ্ধের শেষ কৃত্য করলেন স্থানীয় মুলসিম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। মানবিকতার কাছে হার মানল জাতিভেদ, সাম্প্রদায়িকতা।
আকোলা পুরসভার নিকাশী বিভাগের প্রধান কর্মী প্রশান্ত রাজকুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'গত শনিবার আকোলা সরাকরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃদ্ধাকে। সোয়াব পরীক্ষা হয় তাঁর। এরই মাঝে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়'টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওই বৃদ্ধার স্বামী। ঘরেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই রাতেই বৃদ্ধার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।'
এরপর রবিবার সকালেই বাবার মৃত্যু খবর দেওয়া হয় নাগপুর প্রবাসী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার ছেলেকে। কিন্তু, সে বাবার দেহ নিতে অস্বীকার করে। ঘটনা জানার পর, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আকোলা কুটচি মেনন জামাত বৃদ্ধের শেষ কৃত্য সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সভাপতি, জাভেদ জাকেরিয়া বলেন, 'আকোলায় করোনা ধরা পড়ার পরই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, যাঁদের পরিবার মৃতদেহ নেবে না তাঁদের শেষকৃত্য আমাদের সংগঠনের তরফে সম্পন্ন করা হবে। এখনও পর্যন্ত জামাত ২১ করোনা আক্রান্তের শেষ কৃত্য করেছে। তার মধ্যে ৫ জন হিন্দু।' এছাড়াও জাভেদ জানান, স্বেচ্ছাসেবকরা করোনারোধী সরঞ্জাম পড়েই সব কাজ করে। তাঁর কথা অনুযায়ী, মৃতের ছেলে রাজকুমার শেষ কৃত্যের জন্য পাঁচ হাজার টাকা দিলেও নাম প্রকাশ পাওয়ায় অসন্তুষ্ট।
দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেরেই করোনা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। আকোলা হটস্পট বলে চিহ্নিত। বর্তমানে এখানে ৪০০ বেশি সংক্রমিত রয়েছেন ও মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন