স্যার গঙ্গারাম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। আপাতত তাঁকে বাড়িতেই বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এদিকে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা সম্পর্কিত অর্থ তছরুপ মামলায় সোনিয়াকে আগামী ২৩ জুন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও ইডির তলবে সনিয়া গান্ধী সাড়া দেন কিনা তা নিয়েই এখন কৌতুহল।
সংক্রমণ ধরা পড়েছিল সনিয়া গান্ধীর। এরপর ১২ জুন নাক থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় কংগ্রেস সভানেত্রীর। ফলে স্য়ার গঙ্গারাম হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
সনিয়া গান্ধীর কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল দিন ১৫ আগে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা সেই সময়ে জানিয়ে ছিলেন যে, নেত্রীর হালকা জ্বর এবং অন্যান্য করোনার কিছু লক্ষণ দেখা গিয়েছে। নিজেকে সে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন।
কংগ্রেস সভানেত্রীর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সনিয়া গান্ধীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নাক দিয়ে রক্তপাতের জন্য তাঁর চিকিথসা হয়েছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালের পুরানো ব্লকের একটি ব্যক্তিগত কক্ষে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।
সনিয়ার বিরুদ্ধে ইডি মামলাটি একটি ট্রায়াল কোর্টের আদেশের উপর ভিত্তি করে হচ্ছে। আদালত আয়কর বিভাগকে ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার বিষয়গুলি নিয়ে তদন্ত করার, সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর ছেলে রাহুলের কর মূল্যায়ন করার অনুমতি দিয়েছে। এই আদেশটি ২০১৩ সালে বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দায়ের করা একটি পিটিশনের ভিত্তিতে হচ্ছে। স্বামীর অভিযোগে গান্ধীদের পক্ষ থেকে সংবাদপত্র অধিগ্রহণে প্রতারণা এবং তহবিলের অপব্যবহার করা হয়েছিল।