আএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম। আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে তিহার জেলে রয়েছেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। সোমবার, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তিহার জেলে যান কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন চিদাম্বরম পুত্র কার্তি।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমকে সমর্থন জানিয়ে পাশেই রয়েছে তাঁর দল জাতীয় কংগ্রেস। পি চিদাম্বরম ট্যুইটে সোনীয়া গান্ধী ও মনমোহন সিং যেভাবে তাঁর সঙ্গে এসে জেলে এসে সাক্ষাৎ করেন তার প্রশংসা করেছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর হয়ে ট্যুইট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "আমি সম্মানিত যে সোনিয়া গান্ধী এবং ডঃ মনমোহন সিং আজ (সোমবার) আমার সঙ্গে জেলে এসে সাক্ষাৎ করেছেন। যতক্ষণ দল শক্তিশালী এবং সাহসী থাকবে ততক্ষণ আমিও শক্তিশালী ও সাহসী থাকব"।
আরও পড়ুন: এনআরসি আতঙ্কে বাংলায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
সেই ট্যুইটেই অবশ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদীর হিউস্টনের সভার মন্তব্য তুলে ধরে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। মোদী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপস্থিতিতে আটি ভারতীয় সরকারি ভাষায় বলেন "ভারতে সব ভাল আছে।" তারই প্রেক্ষিতে কংগ্রেসের এই নেতার ট্যুইটে বলা হয়, "ভারতে সব ভাল রয়েছে, ব্য়তিক্রম শুধু, বেকারত্ব, কর্মীহীনতা, কম বেতন, গণ হিংসা, কাশ্মীরে অচলাবস্থা ও বিরোধী দলের নেতাদের জেলবন্দি করা।" স্পষ্ট করে দেন বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁর অসন্তোষ।
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা বিলোপে সন্ত্রাসীদের সমর্থনকারীরা সমস্যার সম্মুখীন, হাওডি-তে বললেন মোদী
দলের দুই শীর্ষ নেতা জেলে চিদাম্বরমের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চিদাম্বরম পুত্র কার্তি। তিনি বলেন, "আমার বাবা ও পরিবার সোনিয়া গান্ধী ও ডঃ মনমোহন সিংয়ের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। এই রাজনৈতিক লড়াইতে তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বিরাট অনুপ্ররণা জোগাবে।"। এর আগে জেলে চিদাম্বরম্বের সঙ্গে দেখা করেছিলেন গুলাম নবি আজাদ ও আহমেদ প্যাটেল।
২০০৭ সালে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন পি চিদাম্বরমের বিরুদ্ধে আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থায় বিদেশি তহবিলের এক বিশাল আদান-প্রদানের সুবিধা করে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ তাঁর ছেলে কার্তি চিদাম্বরমের অনুরোধেই ওই কাজ করেন তিনি। পরিবর্তে আইএনএক্স মিডিয়া সংস্থার কাছ থেকে বিশাল অঙ্কের ঘুষ পান কার্তি চিদাম্বরম। অভিযোগ এমনটাই। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বেশ কয়েকবার জেরা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে। তারপর গত মাসে বিস্তরর টানাপোড়েনের পর গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আপাতত, ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকতে হবে চিদাম্বরমকে।
Read the full story in English