কিছুদিন আগেই ইডি দফায় দফায় ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় জেরা করেছে রাহুল গান্ধীকে। আজ সেই একই মামলায় ইডির মুখোমুখি হতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী। ন্যাশানাল হেরাল্ড মামলায় এর আগেই সোনিয়াকে ইডি তলব করে কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে সেবার ইডির মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। অবশেষে আজ ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আজ বেলা ১১ টা নাগাদ সোনিয়ার ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ইডির পদক্ষেপকে "রাজনৈতিক প্রতিহিংসা" বলে উল্লেখ করে দেশ ব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করেছেন। নয়াদিল্লিতে এআইসিসি সদর দফতরের সামনে একে একে জড়ো হতে শুরু করেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। সূত্রের খবর প্রতিবাদ কর্মসূচীতে সকল অবিজেপি দলগুলিকে পাশে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে কংগ্রেসের তরফে।
দলের সদর দপ্তর থেকে ইডি-র দপ্তর পর্যন্ত মিছিল করে প্রতিবাদ দেখাবেন তাঁরা। দলের সাংসদেরা সংসদেও বিক্ষোভ দেখাবেন। তার পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করবেন। এদিকে বিক্ষোভ রুখতে আগে থেকেই প্রস্তুত দিল্লি পুলিশ। বুধবার রাত থেকে আকবর রোড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের দপ্তরের বাইরেও ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। এর আগে রাহুল গান্ধীকে পাঁচ দিন টানা ৫০ ঘন্টা জেরা করে ইডি। সেসময়েও প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয় দিল্লি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-সূত্রে জানানো হয়েছে সাংসদ সহ দলের নেতারা ইডি সদর দফতরের দিকে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেবেন, অন্যদিকে দিল্লি কংগ্রেস রাজভবনের বাইরে প্রতিবাদ মিছিল করবে।
আরও পড়ুন: <২১-য়ের কলকাতায় মানেকা-বরুণ! পদ্ম ছেড়ে জোড়া-ফুলে?>
এদিকে এদিনের ইডির তলব প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন যে দিল্লি পুলিশ মিডিয়াকে কংগ্রেস দলের সদর দফতরে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। এপ্রসঙ্গে তিনি এক টুইট বার্তায় লেখেন, “আজ সকাল থেকে দিল্লি পুলিশ স্পষ্টতই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আদেশ মেনে মিডিয়াকে কংগ্রেস দলের সদর দফতরে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। বিজেপির এই প্রতিহিংসা পরায়ণ রাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই”।
বুধবারই দলের পক্ষ থেকে এই টুইট বার্তায় জানানো হয়েছে “ইডির এই তলবের বিরোধিতা করে কংগ্রেস নেতা ও কর্মীরা বিভিন্ন রাজধানীতে ইডি-র অফিসের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন” । মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নির্ধারণ করতে বুধবার মল্লিকার্জুন খার্গের বাসভবনে দলের সিনিয়ার নেতারা এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন। সূত্রের খবর সেই বৈঠকে দলের ভবিষ্যতের রণকৌশল নির্ধারিত হয়েছে।