রাম নবমী ও হনুমান জয়ন্তীকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জায়গায়। সামনে রয়েছে অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাই কড়া হাতে রাশ ধরতে চাইছে যোগী প্রশাসন। সোমবারই হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক। তারপরই সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেইনির্দেশিকায় উল্লেখ, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিতে মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে সেই শব্দ যেন উপাসনালয় প্রাঙ্গনের বাইরে শোনা না যায় এবং অন্যদের অসুবিধার কারণ না হয়, তা দেখতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে নতুন জায়গায় মাইক্রোফোন ব্যবহার করার অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশিয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে, 'প্রত্যেকেরই নিজস্ব ধর্মীয় মতাদর্শ অনুসারে উপাসনা পদ্ধতি অনুশীলন করার স্বাধীনতা রয়েছে। মাইক্রোফোন ব্যবহার করা যেতে পারে তবে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, তার শব্দ যেন উপাসনা প্রাঙ্গনের বাইরে না যায়। মাইক্রোফোনের শব্দ অন্যদের অসুবিধার কারণ হওয়া উচিত নয়। কোনও নতুন জায়গায় মাইক্রোফোন ইনস্টল করার অনুমতি দেওয়া হবে না।'
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়েছে যে, 'বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, পুলিশকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) থেকে এডিজি স্তরের পুলিশ আধিকারিকদের আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকায় ধর্মীয় নেতা এবং সমাজের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।' মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, 'প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিরক্তিকর বিবৃতি দিলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।'
রাস্তায় যান চলাচলে ব্যাঘাত না করে নির্ধারিত স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় মিছিল বের করা যাবে না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'ধর্মীয় মিছিলের অনুমতি দেওয়ার আগে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আয়োজকদের কাছ থেকে হলফনামা নেবে। এছাড়াও, শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে। নতুন কোনও মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না।'
উত্তরপ্রদেশে সরকার প্রশাসনিক ও পুলিশ আধিকারিকদের আগামী ৪ মে পর্যন্ত ছুটি বাতিল করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করে সংবেদনশীল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
Read in English