Advertisment

গোপন নথির সূত্র কিছুতেই প্রকাশ নয়: অনড় এন রাম

রাম বলেছেন, আমরা আমাদের সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। পৃথিবীর কোনও শক্তি এ ব্যাপারে আমাদের মত বদলাতে পারবে না। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sources will not be disclosed says n ram

অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ব্রিটিশ রাজের চালু করা কালা আইন, অভিযোগ এন রামের

ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল সুপ্রিম কোর্টে বলেছেন, রাফাল চুক্তি নিয়ে দ্য হিন্দু পত্রিকায় যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তার ভিত্তি হল গোপন এবং চুরি যাওয়া নথি। হিন্দু পাবলিশিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন রাম ওই প্রতিবেদনের লেখক। তিনি স্পষ্ট ভাষায় এ ব্যাপারে সংবাদপত্রের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। “আমরা যা প্রকাশ করেছি তা সম্পূর্ণ যথাযথ এবং জনস্বার্থে প্রকাশিত।“

Advertisment

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে রাম জানিয়েছেন, “আমরা নথি চুরি করিনি।“

সুপ্রিম কোর্টের মামলা নিয়ে রাম অবশ্য কিছু বলতে চাননি। তবে চুরি যাওয়া নথি সম্পর্কে যে অভিযোগ, সে নিয়ে এন রাম বলেছেন, নথি তাঁরা পেয়েছেন গোপন সূত্র থেকে।

রাম বলেছেন, আমরা আমাদের সূত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করতে সম্পূর্ণ দায়বদ্ধ। পৃথিবীর কোনও শক্তি এ ব্যাপারে আমাদের মত বদলাতে পারবে না।

আরও পড়ুন, পাক এফ ১৬-র একটি মিসাইল লক্ষ্যভ্রষ্ট, অপরটি আঘাত হানে মিগে

এ নথি যে তাঁরা কেনেননি, সে কথাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “আমরা এ তথ্যের জন্য কোনও অর্থ খরচ করিনি, এ তথ্য এসেছে নিজে থেকে, এসেছে সম্পূর্ণ জনস্বার্থে।“

আইনি পরিভাষায় একে চুরি যাওয়া নথি বলা গেলেও বা এ নথিতে তাঁদের কাছে অননুমোদিত হলেও রামের কথায়, “এভাবেই তথ্য প্রকাশিত হয়, এটি তদন্তমূলক সাংবাদিকতার অংশ।“

তিনি বলেন, “এ তথ্য জনসমক্ষে থাকা উচিত ছিল, কিন্তু তা চেপে রাখা হয়েছে। এ তথ্য প্রকাশ করা উচিত ছিল, কিন্তু সংসদে তা জানানো হয়নি। এবং আমার বিশ্বাস আমরা যে তথ্য প্রকাশ করেছি তার সবটা সুপ্রিম কোর্টকেও জানানো হয়নি।“

রাম বলেন, যখন বোফর্স চুক্তির নথি প্রকাশিত হয়েছিল, তখন কেউ গোপনীয়তা আইনের কথা তোলেননি।

প্রবীণ সাংবাদিক বললেন, সংবিধানের ১৯ (১) (এ) অনুচ্ছেদ এবং তথ্যের অধিকার আইনের রক্ষাকবচ রয়েছে তাঁদের।

অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্টকে “জঘন্য এবং ব্রিটিশ রাজের উত্তরাধিকার“ বলে দাবি করে রাম বলেন, “সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি এবং সংবাদমাধ্যম এর অপসারণ দাবি করে এসেছে।“ তিনি বলেন “ব্রিটিশ রাজ কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থে এ আইন প্রণয়ন করেছিল, এবং স্বাধীনতার পর থেকে এ আইন প্রকাশনার বিরুদ্ধে খুব বেশি ব্যবহৃত হয়নি।“ তিনি বলেন “গুপ্তচরবৃত্তি রুখতে এ আইনের কিছু প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এক্ষেত্রে তা অপ্রাসঙ্গিক।“

আরও পড়ুন, ‘‘মোদীর বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি তদন্ত নয়?’’

এর আগেও নথি চুরি করার অভিযোগ যে শোনা যায়নি তা নয়, মনে করিয়ে দিয়েছেন এন রাম। তিনি উদাহরণ দিয়েছেন পেন্টাগন পেপার্স, ওয়াটারগেট এবং উইকিলিকসের। এ সব ক্ষেত্রেই সংবাদমাধ্যমে সরকারি নথি প্রকাশিত হয়েছিল এবং সরকার দাবি করেছিল, এ সব নথি চুরি করে পাওয়া।

Read the Full Story in English

supreme court Rafale
Advertisment