সরকার ১৮ থেকে 22 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদের একটি বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে। বৃহস্পতিবার সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন (১৭ তম লোকসভার ১৩ তম অধিবেশন এবং রাজ্যসভার ২৬১তম অধিবেশন) ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। এই বিশেষ অধিবেশনে মোট পাঁচটি বৈঠক ডাকা হবে।' অমৃতকালের মধ্যে সংসদে ফলপ্রসূ আলোচনা ও বিতর্কের জন্য এই অধিবেশন ডাকা হয়েছে বলেই জোশী X বার্তায় জানিয়েছেন। ৯ সেপ্টেম্বর দেশের রাজধানীতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের কয়েকদিন পর এই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। তবে, এই পাঁচ দিনের অধিবেশনের এজেন্ডা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও শব্দের উল্লেখ করা হয়নি।
এই বর্ষা অধিবেশনে লোকসভায় মোট ২২টি বিল পাস হয়েছে। আর, রাজ্যসভায় পাস হয়েছে ২৫টি বিল। উভয়কক্ষ যৌথভাবে ২৩টি বিল অনুমোদন করেছে। যাতে তা আইনে পরিণত হতে পারে। একটি হাউসের অনুমোদন পাওয়া বিলগুলির মধ্যে কয়েকটি ছিল যা অন্যটি পূর্ববর্তী অধিবেশনগুলিতে অনুমোদন করেছিল। সামগ্রিকভাবে, লোকসভার কার্যকারিতা ছিল যা বাস্তবে হওয়া উচিত, তার ৪৫% এবং রাজ্যসভার কার্যকারিতা ছিল ৬৩%। এই অধিবেশনে সংসদে পাস করা আইনের মূল অংশগুলো হল:- বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি (সংশোধন) বিল, সিনেমাটোগ্রাফ (সংশোধন) বিল, বন (সংরক্ষণ) সংশোধনী বিল, ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা বিল এবং জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের সরকার বা দিল্লি (সংশোধনী) বিল।
আরও পড়ুন- সবচেয়ে শুকনো আগস্ট! বৃষ্টির ওপর এন নিনো কতটা প্রভাব ফেলছে?
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে হওয়া বর্ষা অধিবেশনের মত এবারও প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি উভয়েই অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে সরকারের কৃতিত্বগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যা সরকারের কাছে বিরোধীদের মুখোশ খুলে দেওয়া এবং সাধারণ নির্বাচনের জন্য ভোটারদের কাছে একটি বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ সরকারের কাছে এনে দিয়েছিল। কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈয়ের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে চলেছে এবং ৬০ জন সাংসদ তাতে অংশগ্রহণ করেছেন।