প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাসভবনে অপরিচিত ব্যক্তিদের গাড়ি-সহ প্রবেশ ঘিরে নিরাপত্তা সংশয় সংক্রান্ত বিতর্কে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিন নিরাপত্তা কর্মীকে এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এদিন সংসদে জানান শাহ। মঙ্গলবারই লোকসভায় পাশ হল 'এসপিজি সংশোধনী বিল ২০১৯'। কংগ্রেসের ওয়াকআউট সত্ত্বেও এই বিল পাশ হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। এসপিজি বিল নিয়ে বিতর্কের সময় অমিত শাহ বলেন, "গান্ধী পরিবারের কথা মাথায় রেখে এসপিজি আইনে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।" কংগ্রেসের প্রতি তীব্র শ্লেষ সহকারে তিনি আরও বলেন, যখন মনমোহন সিং ও তাঁর পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয় তখন উচ্চবাচ্য করেনি কংগ্রেস। কিন্তু যেই গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তায় হাত দেওয়া হয়েছে তখনই প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন তাঁরা। অমিত শাহের এই মন্তব্যের বিরোধিতা করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদ। তিনি বলেন, "মনমোহন সিংয়ের নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পরও প্রথামাফিক অভিযোগ জানানো হয়েছিল।" এরপরই শাহর তীর্যক মন্তব্য, "প্রথামাফিক অভিযোগ আর প্রতিবাদ তো এক হল না।"
আরও পড়ুন: অযোধ্যা মামলা থেকে ‘বরখাস্ত’ মুসলিম পক্ষের হিন্দু আইনজীবী
প্রসঙ্গত, গোয়েন্দা সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে গান্ধী পরিবারের এই সুরক্ষা প্রত্যাহার করা হয়।মনমোহন সিং এবং গান্ধী পরিবারের উপর গুরুতর হামলা হওয়ার সম্ভাবনা কম, গোয়েন্দা বিভাগের তরফে এমন তথ্য পাওয়ার পরই এসপিজির মতো নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। পরিবর্তে দেওয়া হয় জেড প্লাস নিরাপত্তা। যার দায়িত্বে থাকে সিআরপিএফ।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতেই সুর চড়ালেন রবার্ট
এদিকে, এসপিজি নিরাপত্তা উঠতেই ২৬ নভেম্বর আচমকাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বাড়িতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় যুবক যুবতী। কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদিকার সঙ্গে ছবিও তুলতে চান তারা। সোমবারই সেই খবর প্রকাশ্যে আনে কংগ্রেস। এরপরই প্রশ্ন ওঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে। এমনকী ‘সুরক্ষা’ ইস্যুতে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা। কিন্তু, কীভাবে কড়া নজর এড়িয়ে আচমকা হেভিওয়েটের বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করল তারা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি হায়দরাবাদে ধর্ষণ এবং নিরাপত্তা লংঘনের খবর সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রবার্ট বলেন, ‘গোটা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা হচ্ছে। মেয়েদের শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমরা কী সমাজ তৈরি করছি।’ সরকারকে নিশানা করে তাঁর প্রশ্ন, ‘আমরা যদি নিজেদের দেশে, বাড়িতে, রাস্তায়, দিনে-রাতে সুরক্ষিত না থাকি, তবে কোথায়, কখন সুরক্ষিত থাকব?’