বিশ্বে প্রথমবারের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এসেছে রাশিয়াই। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল না করেই করোনা আক্রান্তদের জন্য এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ করেছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। তবে এবার এই ভ্যাকসিন তৈরি এবং এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ভারতের সাহায্য চাইল রাশিয়া।
দেশিয় সংস্থাগুলির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ভারতের বিভিন্ন স্থানে স্পুটনিকের ট্রায়ালের পরিকল্পনা করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। নীতি আয়োগ এবং ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারপার্সন ডা: ভি কে পল জানান যে রাশিয়া সাহায্য চেয়েছে। আর মস্কোর গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির সঙ্গে গাঁটছরা বাঁধার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ভারতের তিনটি সংস্থা।
ডা: পল বলেন, "রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ট্রায়াল কিংবা প্রস্তুতের বিষয়টি এখন বিবেচনাধীন। রাশিয়ার সরকার যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমেই দু'ভাবে ভারতের কাছে সহায়তা চেয়েছে। এক, উচ্চমানের ভ্যাকসিম্ন প্রস্তুতকারক সংস্থারা রাশিয়ার ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে আগ্রহী কি না। তাহলে অনেক বৃহৎভাবে এই ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি করা যাবে। দ্বিতীয়ত, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল করা যাবে কি না।"
আরও পড়ুন, করোনা ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া! বন্ধ হল অ্যাস্ট্রাজেনেকার ট্রায়াল
এদিকে, দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানতে পেরেছে, রাশিয়ার গবেষণা সংস্থা স্পুটনিক-৫ এর সুরক্ষা ও কার্যকারিতা সংক্রান্ত বিস্তৃত তথ্য ভারতকে দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ‘ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিষয়ে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে।’ রাশিয়ার ভ্যাকসিনের বিস্তৃত তথ্য পর্যালোচনা করবেন ভারতের বিশেষজ্ঞরা। নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের থেকে ছাড়পত্র পেলে বিকল্প হিসাবে ভারতে পৃথকভাবে এর তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যেতে পারে।
এও জানা গিয়েছে, রাশিয়া একাধিক দেশে এই ভ্যকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পরিকল্পনা করেছে। এইসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ব্রাজিল ও ফিলিপিন্স। যদিও স্পুটনিক-৫ নিয়ে গামালিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির দ্রূততা ও গোপনীয়তা নিয়ে রাশিয়ার দাবি সম্পর্কে পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন