ইস্তফা দেওয়ার আগেই পালিয়েছিলেন ভাই। পরে বিদেশ থেকে ইস্তফাপত্র মেল করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া। এবার তাঁর দাদার পালানোর পথ বন্ধ করল দ্বীপরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে যাতে দেশ ছেড়ে না পালাতে পারেন সেই ব্যবস্থা করল শীর্ষ আদালত।
শুক্রবার আদালত জানিয়েছে, মাহিন্দা এবং তাঁর ছোট ভাই প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত বিনা অনুমতিতে দেশ ছাড়তে পারবেন না। আরও তিন সরকারি আধিকারিক যার মধ্যে প্রাক্তন দুই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের গভর্নরও আগামী ২৮ জুলাই পর্যন্ত দেশ ছাড়তে পারবেন না, এমনটা টুইট করে জানিয়েছে সেদেশের দুর্নীতি-দমন শাখা।
গোটাবায়ার ইস্তফা গৃহীত হতেই শ্রীলঙ্কার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিলেন রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি এবার তিনি দেশের রাষ্ট্রপতিও বটে। আগামী ২০ জুলাই পার্লামেন্টে নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন রয়েছে। ততদিন গোটাবায়ার ঘনিষ্ঠ রনিলই কলম্বোর গদিতে বসবেন।
আরও পড়ুন প্রধানমন্ত্রী-ই এবার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট, গদি ছাড়লেন না গোটাবায়া-ঘনিষ্ঠ বিক্রমসিঙ্ঘে
শুক্রবার পার্লামেন্টের স্পিকার গোটাবায়া রাজাপক্ষের ইস্তফা গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তার পর জানান, শনিবার সংসদে বৈঠকে বসবে সব দল। তার পর আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার সংবিধান অনুযায়ী, সাতদিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করতে হবে।
অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হয়েই রনিল জানিয়েছেন, দেশে অচলাবস্থা কাটাতে সরকার পদক্ষেপ করবে। সংবিধান মেনেই দেশে আইন-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করা হবে। তবে সর্বদলীয় সরকার গঠনের পক্ষেই এখন শাসক-বিরোধী সব শিবির। বিরোধী দল শ্রীলঙ্কা পোডুজনা পেরামুনার সাংসদ গেভিন্দু কুমারাতুঙ্গা জানিয়েছেন, আগামী বুধবার ভোটিংয়ের মাধ্যমে পার্লামেন্টে নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। তার আগে মনোনয়ন পেশ হবে।
আরও পড়ুন শ্রীলঙ্কায় সংকট: গোটাবায়ার ইস্তফা গৃহীত, ৭ দিনের মধ্যে নয়া প্রেসিডেন্ট
এদিকে, প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পদত্যাগ উদযাপনের জন্য উল্লসিত জনতা শুক্রবার রাতেই রাস্তায় জড়ো হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতির বাসভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ যেসব সরকারি ভবনগুলির দখল নিয়েছিল, সেগুলি খালি করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করতে চায় না।