পদত্যাগের ঘোষণা শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের। সর্বদলীয় সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পথ প্রশস্ত করতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, “দেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা-সহ সরকারের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য আমি সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য পার্টি নেতাদের সর্বোত্তম সুপারিশ গ্রহণ করেছি। এই প্রক্রিয়া সহজ করতে আমি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করব।”
তার আগে এদিন শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় হাজার-হাজার বিক্ষোভকারী সরকারের বিরুদ্ধে পথে নামেন। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষের সরকারি বাসভবনে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে ভুগতে থাকা দ্বীপরাষ্ট্রে সরকারের বিরুদ্ধে মিছিল চলে।
সংবাদ সংস্থা এএফপির খবর অনুযায়ী, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তাঁর বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এদিন কয়েকশো বিক্ষোভকারী শ্রীলঙ্কার পতাকা ও হেলমেট হাতে রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন। স্থানীয় টিভি নিউজ নিউজ ফার্স্ট চ্যানেলের ভিডিও ফুটেজ সেই ছবি দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- কলম্বোয় ধুন্ধুমার, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে ভয়ঙ্কর হামলা
২২ মিলিয়ন মানুষের বাস দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায়। বৈদেশিক মুদ্রার তুমুল ঘাটতিতে দেশটিতে জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে। সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে করুণ আর্থিক পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কায়। এক প্রত্যক্ষদর্শীকে ঊদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হাজার-হাজার মানুষ কলম্বোয় ঢুকে পড়েছেন। তাঁরা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলেছেন।
রাজাপক্ষের বাড়িতে পৌঁছানোর আগে বেশ কয়েকটি পুলিশের ব্যারিকেড তাঁরা ভেঙে ফেলেছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু তবুও রাষ্ট্রপতির বাসভবন ঘেরাও করা থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে পারেনি পুলিশ।