আদানির ব্যবসা বাড়াতে শ্রীলঙ্কার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করলেন শ্রীলঙ্কার বিদ্যুত্ বিভাগের এক আধিকারিক। তিনি আবার যে সে নন। শ্রীলঙ্কা ইলেকট্রিসিটি বোর্ড বা (সিইবি)-র চেয়ারম্যান। ওই আধিকারিকের নাম এমএমসি ফার্দিনান্দো। তিনি শ্রীলঙ্কার সংসদীয় প্যানেলকে একথা জানিয়েছেন।
উত্তর মান্নার জেলায় ৫০০ মেগাওয়াটের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুত প্রকল্প গৌতম আদানিকে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প যাতে গৌতম আদানি পান, সেজন্যই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন মোদী। এমনটাই দাবি করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের ওই আধিকারিক। তিনি কীভাবে একথা জানলেন, তা-ও শ্রীলঙ্কার সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের সঙ্গে তাঁর এই ব্যাপারে কথা হয়। সেই সময়ই রাজপক্ষে তাঁকে একথা জানিয়েছিলেন।
যদিও পরে নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার করেন ফার্দিনান্দো। দাবি করেন, আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি ওই কথা বলে ফেলেছিলেন। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের কার্যালয়ও ফার্দিনান্দোর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, তাতে আর ড্যামেজ কন্ট্রোল করা সম্ভব হয়নি। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী পক প্রণালী পেরিয়ে আদানির জন্য মোদীর এই উদ্যোগকে কটাক্ষ করেন।
আরও পড়ুন- নুপুর শর্মার মন্তব্য ইস্যু: বন্ধু পেল নয়াদিল্লি, ভারতের পাশেই ইসলামিক বাংলাদেশ
অতীতে কংগ্রেস বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানি আর মুকেশ অম্বানির যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, কয়েকজন গুজরাতি মিলে এখন দেশটাকে চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন মোদী আর অমিত শাহ। আর, গৌতম আদানি এবং মুকেশ অম্বানি। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, 'এটা অনেকটা হাম দো, হামারা দো-এর মত ব্যাপার।'
তার মধ্যেই এবার মোদীর বিরুদ্ধে আদানির ব্যবসায় সাহায্যের অভিযোগ উঠল শ্রীলঙ্কা থেকেও। এর আগে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছিল ভারত। যার জেরে শেষ পর্যন্ত মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় সিঙ্গাপুর সরকার। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।
Read full story in English