Advertisment

আদানির হয়ে মোদীর চাপের কথা ফাঁস করে বিপাকে, চাকরি ছাড়লেন শ্রীলঙ্কার আধিকারিক

একথা বলার পরই ব্যাপক চাপে পড়ে যান ফার্দিনান্দো। ব্যাপক চাপ বেড়ে যায় তাঁর ওপর। তাঁকে দিয়ে বলানো হয়, তিনি আবেগের বশে বলে দিয়েছেন এই সব কথা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

একদিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, শিল্পপতি গৌতম আদানির হয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। গৌতম আদানি যাতে শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুতের উত্পাদন কেন্দ্র তৈরি করতে পারেন, কার্যত সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর, এজন্য মোদী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার সংসদীয় প্যানেলকে একথা জানিয়েছিলেন এমএসসি ফার্দিনান্দো। তিনি আবার যে সে ব্যক্তি নন। শ্রীলঙ্কা ইলেকট্রিসিটি বোর্ড বা (সিইবি)-র চেয়ারম্যান।

Advertisment

কিন্তু, একথা বলার পরই ব্যাপক চাপে পড়ে যান ফার্দিনান্দো। ব্যাপক চাপ বেড়ে যায় তাঁর ওপর। তাঁকে দিয়ে বলানো হয়, তিনি আবেগের বশে বলে দিয়েছেন এই সব কথা। শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের দফতরও ফার্দিনান্দোর যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। কিন্তু, তাতেও চাপ কমেনি। সেই চাপ আর সহ্য করতে না-পেরে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এবার চাকরিই ছেড়ে দিলেন শ্রীলঙ্কা সরকারের ওই আধিকারিক।

ঠিক কী বলেছিলেন, ফার্দিনান্দো? তিনি জানিয়েছিলেন, উত্তর মান্নার জেলায় ৫০০ মেগাওয়াটের পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুত প্রকল্প গৌতম আদানিকে দেওয়া হয়েছে। ওই প্রকল্প যাতে গৌতম আদানি পান, সেজন্যই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন মোদী। এমনটাই দাবি করেছেন দ্বীপরাষ্ট্রের ওই আধিকারিক। তিনি কীভাবে একথা জানলেন, তা-ও শ্রীলঙ্কার সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের সঙ্গে তাঁর এই ব্যাপারে কথা হয়। সেই সময়ই রাজপক্ষে তাঁকে একথা জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- ‘ যে যাই বলুক, নুপুর বিতর্কে ঢুকবেনই না’, চরম সতর্কতা জারি বিজেপিতে

অতীতে কংগ্রেস বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানি আর মুকেশ অম্বানির যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, কয়েকজন গুজরাতি মিলে এখন দেশটাকে চালাচ্ছেন। তাঁরা হলেন মোদী আর অমিত শাহ। আর, গৌতম আদানি এবং মুকেশ অম্বানি। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কটাক্ষ, 'এটা অনেকটা হাম দো, হামারা দো-এর মত ব্যাপার।'

তার মধ্যেই এবার মোদীর বিরুদ্ধে আদানির ব্যবসায় সাহায্যের অভিযোগ উঠল শ্রীলঙ্কা থেকেও। এর আগে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীও মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছিল ভারত। যার জেরে শেষ পর্যন্ত মন্তব্য প্রত্যাহার করে নেয় সিঙ্গাপুর সরকার। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন যে তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।

Read full story in English

India Sri Lanka Power
Advertisment