/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/Gotabaya-Rajapaksha-1.jpg)
স্বস্ত্রীক গোটাবায়া
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করলেন গোটাবায়া রাজাপক্ষ। ইমেল মারফত তিনি পদত্যাগ করলেন। বৃহস্পতিবার তাঁর পদত্যাগপত্র পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে। আগামী সপ্তাহের পূর্ণ সময়ের প্রেসিডেন্ট পেয়ে যাবে শ্রীলঙ্কা। এক্ষেত্রে শাসক দলের প্রথম পছন্দ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংঘে। বর্তমানে তিনি শ্রীলঙ্কার কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
বুধবার সস্ত্রীক দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে পালান রাজাপক্ষ। প্রথমে তিনি মালদ্বীপে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে, তাঁকে সিঙ্গাপুরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুরের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজাপক্ষ নিজেও আশ্রয় চাননি। তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি। তিনি শুধু ব্যক্তিগতভাবে ভ্রমণের জন্য সিঙ্গাপুরে এসেছেন। বুধবার অবশ্য মালদ্বীপের রাজধানী মালেতেই কাটান রাজাপক্ষ। সেখানে তিনি পৌঁছন শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর কপ্টারে চেপে।
যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দিয়ে যান। মালেতে সরকারি অতিথিশালায় ছিলেন গোটাবায়া রাজাপক্ষ। বুধবার রাতে সেখান থেকেই তাঁর ইমেল মারফত শ্রীলঙ্কার স্পিকারকে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু, তিনি শেষ পর্যন্ত তা করতে পারেননি। পরে অবশ্য রাজাপক্ষ স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্দেনাকে ইমেল মারফত পদত্যাগপত্র পাঠান। এর আগে অবশ্য স্পিকার জানিয়েছেন, ২০ জুলাই নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবে।
আরও পড়ুন- ভারতজুড়ে তৈরি হবে ইন্টিগ্রেটেড ফুড পার্ক, বিনিয়োগ করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
এর মধ্যেই বিক্ষোভ অব্যাহত শ্রীলঙ্কায়। বৃহস্পতিবারও প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ ইচ্ছেমতো ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। তবে, রনিল বিক্রমসিংহে অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর আগের থেকে প্রশাসন কঠোর হয়েছে। রাজধানী কলম্বোতে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে কার্ফু বলবৎ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত আপাতত কার্ফু থাকবে বলেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন।
এর মধ্যেই কার্ফু বলবৎ হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে শ্রীলঙ্কার পুলিশ। রনিল বিক্রমসিংহের কার্যালয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। মোট ৪৫ জন বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া বছর ২৬-এর এক বিক্ষোভকারী শ্বাসকষ্টে হাসপাতালেই প্রাণ হারিয়েছেন।
Read full story in English