গণরোষ তুঙ্গে, সম্প্রচার বন্ধ হল শ্রীলঙ্কার সরকারি চ্যানেলের
শনিবার রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর তিনটি প্রধান ভবন (রাষ্ট্রপতি ভবন, রাষ্ট্রপতির সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) এখনও বিক্ষোভকারীদের দখলে।
অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কা। দেশবাসীর রোষ আঁচ করেই বিদেশে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষে। প্রেসিডেন্ট ভবন এখন বিক্ষোভকারীদের মুক্তাঙ্গন। প্রধানমন্ত্রীই লঙ্কা পরিচালনার দায়িত্বে। দেশে জারি জরুরি অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রূপাভিহিনি-র সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। টেলিভিশন চ্যানেলটি দফতরে বিক্ষোভকারীদের হামলার জেরেই সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
Advertisment
শ্রীলঙ্কা রূপাভিহিনি কর্পোরেশনের তরফে বলা হয়েছে যে, তাদের দফতর ও সংলগ্ন অঞ্চল বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করে রেখেছে। কাজ করতে পারছেন না সংস্থার ইঞ্জিনিয়ররা। ফলে লাইভ সহ সম্প্রচার চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এদিকে, সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে অনড়। ইতিমধ্যেই তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দরজা খুলে দিয়েছে। ব্যারিকেড ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রবেশকারী বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, তিনি পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং সর্বদলীয় সরকার তৈরির প্রস্তুতি শুরু করা হোক। বিক্ষোভের নামে হিংসায় মদতদাতাদের গ্রেফতার করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ এবং প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর তিনটি প্রধান ভবন (রাষ্ট্রপতি ভবন, রাষ্ট্রপতির সচিবালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন) এখনও বিক্ষোভকারীদের দখলে।
২২ মিলিয়ান জমসংখ্যার শ্রীলঙ্কাগত কয়েক মাস ধরেই ব্যাপক অর্থনৈতিকসঙ্কটের কবলে পড়েছে। যা দেশটির স্বাধীনতার পর সাত দশকে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি। দ্বীপরাষ্ট্রের লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য, ওষুধ, জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সংগ্রাম করছে। জীবন চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে।