অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দ্বীপরাষ্ট্রে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। লিটার পেট্রোলের দাম ৩ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। রান্নার গ্যাস বিকোচ্ছে সিলিন্ডার প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে। এমন পরিস্থিতিতে সংকটে ভারতের কৃষিজাত পন্যের রফতানি। চিনি, আঙ্গুর এবং পেঁয়াজের মত কৃষিজাত পণ্য বিপুল পরিমাণে রফতানি করা হত দ্বীপরাষ্ট্রে। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে বেশিরভাগ রফতানি এখন বন্ধ। ধাক্কা খেয়েছে ব্যবসা বাণিজ্যও।
অনেকেই জানিয়েছেন এমন সংকটের কারণে রফতানি করা দ্রব্যের ন্যায্য দাম এখনও পাননি তাঁরা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় ৫২ হাজার কোটি ডলারের সামগ্রী রফতানি করে ভারত। তার মধ্যে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, স্কিমড মিল্ক পাউডার, চিনি, পেঁয়াজ এবং আঙ্গুর। শ্রীলঙ্কার মোট চিনির চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ যায় এদেশ থেকেই। তবে গত তিন মাস ধরে রফতানি প্রায় বন্ধই রয়েছে। চিনির সঙ্গে সঙ্গে পেঁয়াজের রফতানিও প্রায় বন্ধ রয়েছে ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে ভারত থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে প্রায় ১.৬২ লক্ষ টন পিঁয়াজ রফতানি হয়েছে।
রেনবো ইন্টারন্যাশনালের প্রধান অভিজিৎ ভাসালে বলেন, “ যা রফতানি হয়েছে সেই টাকার অনেকটাই এখনও বাকি রয়েছে”। তিনি বলেন "যদি আমরা বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির তুলনা করি, তবে বাংলাদেশেও ভারতের পিঁয়াজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে”। অর্থনৈতিক সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে, ভারতীয় ব্যবসায়ীরা শ্রীলঙ্কায় পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: <দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দ্বীপরাষ্ট্রে>
ভাসালে বলেছেন যে কিছু রপ্তানিকারক, যারা সেদেশের সঙ্গে ব্যবসা চালু রেখেছিল তারা তাদের ন্যায্য টাকা এখনও পাননি। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। দিন কয়েক আগেই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। তার আগেই প্রাসাদ ছেড়ে সপরিবারে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ। জ্বালিয়েও দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। গতকাল গভীর রাত্রে প্রেসিডেন্টের দেশ ছাড়ার খবরে নতুন করে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে।