Advertisment

জরুরি ছাড়া সবক্ষেত্রে জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ শ্রীলঙ্কায়, তেল চাইতে বিদেশে যাচ্ছেন মন্ত্রীরা

বর্তমানে যা চাহিদা, তাতে শ্রীলঙ্কায় এখনও যা তেল আছে, তা দিয়ে বড়জোড় সপ্তাহখানেক চলবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
petol and diesel

শোচনীয় পরিস্থিতি। চূড়ান্ত অর্থাভাবে ভুগছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ভারত একটা নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ধারে জ্বালানি দিচ্ছিল। কিন্তু, তারও সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। আর, তারপরই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রের শাসকদের জ্বালানি কেনার ক্ষমতা নেই। এই জরুরি পরিস্থিতিতে অতি আবশ্যক ছাড়া বাকি সব ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কা সরকার জ্বালানির ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisment

দুই সপ্তাহের জন্য সমস্ত স্কুলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র স্বাস্থ্যক্ষেত্র, ট্রেন, বাসের মতো পরিবহণ ছাড়া আর কোথাও জ্বালানির ব্যবহার হবে না। এমনটা জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বর্তমানে যা চাহিদা, তাতে শ্রীলঙ্কায় এখনও যা তেল আছে, তা দিয়ে বড়জোড় সপ্তাহখানেক চলবে। কিন্তু, তারপর কী হবে! সেই সঙ্গত প্রশ্নকে সামনে রেখে জ্বালানি চাইতে বিভিন্ন দেশে মন্ত্রীদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন।

মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা যাচ্ছেন তেল উত্পাদক ও রপ্তানিকারী দেশ কাতারে। অন্য এক মন্ত্রী আবার যাচ্ছেন রাশিয়ায়। ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে গোটা বিশ্বে প্রায় একঘরে হয়ে পড়া রাশিয়ার থেকে যদি তেল পাওয়া যায়, এই আশায়। আর, কাতার তো আমেরিকার ঈশারা ছাড়া কিছু করে না দীর্ঘদিন ধরেই। সেসব অঙ্ক কষেই তেল উত্পাদক ও রফতানিকারী দেশগুলোয় মন্ত্রীদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।

আরও পড়ুন- পদ্মা সেতুতে প্রস্রাব করে ভাইরাল, অভিযুক্ত রাকিবকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পুলিশ

এই ব্যাপারে মন্ত্রী কাঞ্চনা উইজেসেকেরা বলেন, 'সরাসরি শ্রীলঙ্কার খুচরো বাজারে জ্বালানি বিক্রি করুক বিভিন্ন দেশের সংস্থা। এমনটাই চায় শ্রীলঙ্কার সরকার। মন্ত্রিসভায় তেমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়া শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় প্রথম কয়েক মাসের জন্য তেল আমদানি ও বিক্রি করতে হবে। এই শর্তে বিদেশের সংস্থাগুলো রাজি হলে, তবেই দ্বীপরাষ্ট্রের খুচরো বাজারে তাদের তেল বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।'

ভারতের পরপরই স্বাধীনতা পাওয়া শ্রীলঙ্কা এখন সবচেয়ে করুণ আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দেশে জমা থাকা বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ১৯২ কোটি মার্কিন ডলারের চেয়েও কমে গিয়েছে। ২ কোটি ২০ লক্ষ বাসিন্দার দ্বীপরাষ্ট্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীরও ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

Read full story in English

Sri Lanka Crude Oil essential needs
Advertisment