/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/jammu-kashmir-police-bus-attacked-by-militants.jpg)
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ শুক্রবারের নামাজের পরে শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদে উস্কানিমূলক স্লোগান দেওয়ার জন্য ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
শ্রীনগরে পুলিশ বাসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় আরও এক পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হল। মঙ্গলবার আহত এক পুলিশকর্মীর মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩। শহিদ কনস্টেবল রামিজ আহমেদ গান্দেরবাল জেলার বাসিন্দা। মঙ্গলবার সেনার ৯২ বেস হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সোমবারই দুই পুলিশকর্মী গুলাম হাসান এবং শাফিক আলি শহিদ হন জঙ্গিদের গুলিতে।
গতকালের হামলায় ১৪ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। পুলিশ বাসে এই আচমকা হামলার নেপথ্যে জইশ-এ-মহম্মদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। ২০১৯ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি জইশ-ই পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী গাড়ি বিস্ফোরণের নেপথ্যে ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজ্য পুলিশের ৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের বাসে হামলা চালায় জঙ্গিরা।
ফিঁদায়ে কায়দায়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জিওয়ানেই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর দফতর রয়েছে, আছে আইটিবিপি ও আধা সামরিক বাহিনীর ক্যাম্পাসও। ফলে সব,সময়ই কড়া নিরাপত্তা ওই অঞ্চলে থাকে। তার মধ্যেই জঙ্গিরা পুলিশের গাড়িকে কেমন করে নিশানা করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিগত কয়েকদিন ধরেই উপত্যকায় জঙ্গি গতিবিধির খবর পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই মত রবিবার ভোররাত থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি। বারাগামে তল্লাশি চলাকালীনই নিরাপত্তা বাহিনীদের নিশানা করে পিছন থেকে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। গুলির শব্দ শোনা মাত্রাই পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষে এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও চলতি মাসের শুরুতেই পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে জঙ্গি নিকেশের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন শ্রীনগরের কাছে পুলিশের বাস লক্ষ্য করে জঙ্গি হামলা, মৃত ২
এই হামলার জেরে উপত্যকাজুড়ে আশঙ্কার মেঘ গাঢ় হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরবাসীর স্মৃতিতে উস্কে উঠছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার ঘটনা। আত্মঘাতী জঙ্গি পুলওয়ামা এলাকায় একটি গাড়িতে বিস্ফোরক বোঝাই করে আধা সামরিক বাহিনীর গাড়িতে ধাক্কা মারে। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ৪০ জনের বেশি জওয়ানের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন