শ্রীনগর এনকাউন্টারে খতম হুরিয়ত সংগঠনের চেয়ারম্যান-পুত্র জুনেইদ

জানা গিয়েছে দু বছর আগে মার্চ মাসে জঙ্গিদলে নাম লেখায় জুনেইদ। সম্পর্কে তিনি তেহেরিক-ই-হুরিয়ত সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেহরানির ছেলে।

জানা গিয়েছে দু বছর আগে মার্চ মাসে জঙ্গিদলে নাম লেখায় জুনেইদ। সম্পর্কে তিনি তেহেরিক-ই-হুরিয়ত সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেহরানির ছেলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের পর এই প্রথম শ্রীনগরে চলল পুলিশ-জঙ্গি গুলির লড়াই।

রাতভর গুলির লড়াইয়ে শ্রীনগর এনকাউন্টারে খতম কাশ্মীরের এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার ছেলে এবং হিজবুল মুজাহিদিনের এক কমান্ডার। চলতি মাসেই হিজবুল প্রধান রিয়াজ নাইকুর মৃত্যুর পর জুনেইদই ছিলেন দ্বিতীয় কমান্ডার ইন চিফ।

Advertisment

ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ দিলবাগ সিং বলেন, "গত রাতের লড়াইয়ে দু'জন জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। তাঁরা হলেন শ্রীনগরের জুনেইদ আশরাফ খান এবং পুলওয়ামার তারিক আহামদ শেখ।" তিনি এও বলেন, "হিজাবুল মুজাহিদিনের ডিভিশনাল কমান্ডার ছিলেন জুনেইদ। অনেক মামলাইয় তার নাম ছিল এবং তিনি ওয়ান্টেডের তালিকায়ও ছিলেন।"

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের লস্কর-ই-তৈবার দুই জঙ্গি খতমের এনকাউন্টারের পর এই প্রথম শ্রীনগরে চলল পুলিশ-জঙ্গি গুলির লড়াই। জানা গিয়েছে দু বছর আগে মার্চ মাসে জঙ্গিদলে নাম লেখায় জুনেইদ। সম্পর্কে তিনি তেহেরিক-ই-হুরিয়ত সংগঠনের চেয়ারম্যান মহম্মদ আশরাফ সেহরানির ছেলে।

সোমবার মধ্যরাতেই জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে শ্রীনগরের নাওয়াকাদাল এলাকায় গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। সূত্রমারফৎ নিরাপত্তাবাহিনী জানতে পারে যে এই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে হিজবুল মুজাহিদিনের দু’জন কুখ্যাত জঙ্গি। এরপর সেই নির্দিষ্ট বাড়ির সামনে গিয়ে নিরন্তর গুলির চালাতে শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। পাল্টা দিতে থাকে জঙ্গিরাও। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

Advertisment

তবে এই গুলির লড়াই চলাকালীন আহত হয়েছে এক পুলিশ কর্মী এবং সেনা। এরপর ওই বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে উড়িয়ে দেওয়া হয় বাড়িটি । বাকি কয়েক জঙ্গি প্রাণে বাঁচলেও খতম হন দুই। আর কোনও জঙ্গি ওই এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা জানতে তল্লাশি অভিযান জারি রেখেছেন সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

jammu and kashmir