কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছেন ভূস্বর্গের মানুষজন। শুক্রবার রাত থেকে হাড় হিম করা ঠান্ডায় জবুথবু কাশ্মীর উপত্যকা সহ লাদাখ অঞ্চল। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পারদ পতন ঘটেছে পহলগাম ছাড়া কাশ্মীরের সর্বত্র, মূলত আকাশ পরিষ্কার থাকার কারণে। পতন মানে যেমন তেমন পতন নয়। রাজ্যের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগরে তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের ৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। আবহাওয়া দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোকরনাগ, কাজিগুন্ড, গুলমার্গ, লেহ, এবং দ্রাসেও মরসুমের শীতলতম দিন ছিল শুক্রবার।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কোকরনাগে তাপমাত্রা ছিল শূন্য থেকে ৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে, যা কিনা গত এক দশকে ডিসেম্বরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ওদিকে পারদ নেমে যায় শূন্যের ৫ ডিগ্রি নীচে কাজিগুন্ড শহরে, যা কাশ্মীর উপত্যকার মূল প্রবেশপথ। বিগত চার বছরে এটি শহরের শীতলতম দিন।
আরও পড়ুন: শীত উধাও! ‘ফেতাই’-এর প্রভাবে কাল ও পরশু বৃষ্টির পূর্বাভাস
পারদ পতন প্রতিযোগিতায় একমাত্র ব্যতিক্রম পহলগাম, যেখানে প্রতি বছর বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন অমরনাথ যাত্রীরা। লাদাখ অঞ্চলের এই শহরে শুক্রবার রাতের তাপমাত্রা গিয়ে দাঁড়ায় ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বৃহস্পতিবার রাত ছিল গত দশ বছরে পহলগামের শীতলতম, কিন্তু শুক্রবার রাতে গোটা কাশ্মীর উপত্যকায় একমাত্র পহলগামেই রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
উত্তর কাশ্মীরের স্কি রিসর্ট গুলমার্গে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত তিন বছরে সর্বনিম্ন। উত্তর কাশ্মীরেরই কুপওয়ারাতে রাতের তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লাদাখ অঞ্চলের লেহ শহরে পারদ এক ধাক্কায় আট ডিগ্রি নেমে গিয়ে দাঁড়ায় শূন্য থেকে ১৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। কার্গিল শহরে তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু জম্মু কাশ্মীরের শীতলতম স্থান ছিল দ্রাস, যেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ১৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অবশ্যই ইতিমধ্যে বরফের চাদরে ঢেকেছে ভূস্বর্গ, সেইসঙ্গে ক্রমশ নামছে পারদ। উল্লেখ্য, এই মরসুমে গত সপ্তাহে প্রথমবার হিমাঙ্কের নীচে নেমেছিল পারদ। তুষারপাতে উপত্যকায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের আনন্দ দ্বিগুণ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সে রাজ্যে কৃষকদের বিশাল অঙ্কের টাকার লোকসান হয়েছে। ফলসহ নানান ফসল নষ্ট হয়েছে তুষারপাতের জেরে। যার ফলে মাথায় হাত পড়েছে কৃষকদের।
Read the full story in English