/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/page-1.jpg)
সাহায্যের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন বিজয়ন।
যত দিন গড়াচ্ছে, কেরালায় বন্যা পরিস্থিতি ততই উদ্বেগজনক হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। দক্ষিণের ওই রাজ্যে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা তিনশোরও বেশি। বন্যার জেরে অগণিত মানুষ ঘরছাড়া। ত্রাণশিবিরেও উপচে পড়া ভিড় দুর্দশাগ্রস্তদের। বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার আর্জি জানিয়েছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। সাহায্যের আর্জি জানিয়ে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন বিজয়ন। এই আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন শাহরুখ খান সহ বলিউডের অভিনেতা অভিনেত্রীরা।
কেরালায় প্রায় ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ আজ ঘর ছাড়া। তাঁদের কে দেড়হাজারের বেশি শিবিরে উদ্ধার করে নিয়ে এসে রাখা হয়েছে। বরুণ ধাওয়ান, অনুষ্কা শর্মা, সিদ্ধার্থ মালহোত্রা, ফারহান আখতার, সহ আরও অনেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন।
কেরালার এই দুর্যোগে পাশে থাকার জন্য বলিউড বাদশাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিখ্যাত পরিচালক রসুল পুকুটি।
Thank you so much @iamsrk me personally and the people of kerala are indebted to you for your generosity and quick action...respect ????????????
— resul pookutty (@resulp) August 17, 2018
I have personally reached out to most of them @SrBachchan@iamsrk and @arrahman were quick to react and we are consolidating our fare share of help to #Keralafloods and my fraternity says #istandwithkerela I’m humbled! Thank you so much !
— resul pookutty (@resulp) August 17, 2018
তবে শুধু নামীদামি মানুষজনই নয়, সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে সাধারণ মানুষও। পড়াশোনার খরচের জন্য বহু মানুষের থেকে সাহায্যে পাওয়া টাকা বন্যা বিধ্বস্ত মানুষদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে তুলে দিলেন হান্নান। তিনি দিয়েছেন দেড় লক্ষ টাকা।
মাছ বিক্রি করে পড়াশুনো এবং পরিবারের খরচ চালিয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন লুদ্দিকি জেলার ছাত্রী হান্নান। তিনি জানান, পড়াশুনা চালানোর জন্য তাঁকে অর্থসাহায্য করেছিলেন বহু মানুষ। সেই টাকাই তিনি তুলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে।
নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন যে নার্স, তাঁর স্বামী সাজিশ প্রায় ২৫ হাজার টাকা দান করেছেন।
তালিকায় যোগ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষরাও। ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণদান তো চলছেই, তা ছাড়া বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তাঁদের একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন।