দেশে যখন একের পর এক বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, সেই আবহে চিন্তা বাড়িয়ে তুলল দেশের শীর্ষ হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি। মুম্বাইয়ের জসলোক এবং ওকহার্ড হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীদের দেহে পাওয়া গেল করোনাভাইরাসের ইতিবাচক উপস্থিতি। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে চিকিৎসক, নার্সরা। পরিস্থিতি সামলাতে সমস্ত রোগীদের সরানো হয় ওকহার্ড হাসপাতাল থেকে।
এদিকে একই চিত্র দিল্লিতেও। কোভিড ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যায় মহারাষ্ট্রকেও এই মুহুর্তে ছাপিয়ে গিয়েছে রাজধানী। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের দেহে করোনাভাইরাসের সাড়া মেলায় আংশিকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দুটি হাসপাতাল। একই ঘটনা কলকাতাতেও। সোমবার চিকিৎসক, নার্স ও স্থাস্থ্যকর্মী সহ ৭৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাল নীলরতন সরকার হাসপাতাল। এঁদের মধ্যে ৩৯ জন চিকিৎসক।
তবে ইতিমধ্যেই জসলোক এবং ওকহার্ডকে সংক্রামিত অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তাদের ওপিডি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সমস্ত ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে। জসলোক হাসপাতালে করোনা লক্ষণ দেখা যায়নি এমন এক রোগীর থেকেই আকস্মিকভাবে সংক্রমণ ছড়ায়। ১২ জন স্বাস্থ্য কর্মীর মধ্যে ছিলেন পাঁচজন নার্স। সংক্রমণ এড়াতে সকলকেই কস্তুরবা হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ভেন্টিলেশনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে ওকহার্ড হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ৫২ জন স্বাস্থ্যকরমীর দেহে পাওয়া গিয়েছে এই ভাইরাস। জানা গিয়েছে ১৭ মার্চ অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির রোগীকে দেখাশুনো করছিলেন দু জন নার্স। পরবর্তীতে ওই রোগীর দেহেই মেলে করোনাভাইরাস। ওই দুই নার্স এরপরও স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন। এমনকি হাসপাতালের ক্যান্টিনে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়াও সাড়েন। পরবর্তীতে আরও রোগীর দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেলে পরীক্ষা করা হয় ওই দুই নার্সকে। দেখা যায় তাঁরাও করোনায় আক্রান্ত।
এদিকে হাসপাতালের বিলম্বিত বোধোদয় নিয়ে ক্ষুদ্ধ হাসপাতালের কর্মীরা। এই কথা মাথায় রেখেই সোমবার ওকহার্ড হাসপাতালের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়, "বিশ্বজুড়ে যেভাবে করোনা সংক্রমিত হচ্ছে সেখানে রোগীদের পাশে থাকা উচিত। কিন্তু এই হাসপাতালে সংক্রমিত তালিকা ক্রমশই দীর্ঘ হচ্ছে। সেদিকটি বিবেচনা করে আমরা কোয়ারেন্টাইন এবং আইসোলেটেড রাখছি রোগীদের। তবে আগামীতে তা বৃদ্ধি পেলে পুরসভার নির্দেশ মতো হাসপাতাল বন্ধ করতে হতে পারে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন