খেলার মাঠে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি-দাঙ্গা! তার তাতেই মৃত্যু হল ১৭০ জনের। ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল ইন্দোনেশিয়া। ম্যাচ হারের পর ক্ষুদ্ধ সমর্থকদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বচসা শুরু হয়। ঝামেলা থামাতে কাঁদানে গ্যাসের সেলও ফাটায় পুলিশ। এরপরই দ্রুত পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মাঠে ও স্টেডিয়ামে এলপাথারি হামলা চালায় সমর্থকরা আর তাতেই মৃত্যু হয় ১৭৪ জনের। আর মধ্যে রয়েছেন পুলিশকর্মী ও বেশ কয়েকজন শিশুও।
ইন্দোনেশিয়ায় একটি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন দু’দলের সমর্থকদের বচসা-হাতাহাতিতে কমপক্ষে ১৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালে বেশ কয়েক জনের চিকিৎসা চলছে। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি দল ম্যাচ হারার পরই দলের সমর্থকরা মাঠে নেমে ব্যাপক হামলা চালায় এই ঘটনায় স্টেডিয়ামের ভিতরেই ৩৪ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ২ পুলিশকর্মীও। সংবাদ সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। পূর্ব জাভায় একটি ম্যাচের পর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা স্টেডিয়ামে হামলা চালালে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা। জাভা পুলিশ প্রধান নিকো আফিন্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, স্টেডিয়ামের ভিতরে এই হামলায় ৩৪ জন জনের মৃত্যু হয়। বাকীরা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন প্রাণ হারান।
ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশের মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের মধ্যে ফুটবল ম্যাচটি চলছিল। মুখোমুখি হয়েছিল পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাব। পার্সেবায়া সুরাবায়া তার ঘরের মাঠে আরেমা এফসিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয়। এরপরই আরেমা এফসির হাজার হাজার সমর্থক মাঠে নেমে এলোপাথাড়ি হালমা চালায় বলে অভিযোগ। আর তাতেই স্টেডিয়ামের ভিতর ৩৪ জন দর্শকের মৃত্যু হয়। হিংসার ঘটনা ও পদদলিত আহতদের দ্রুত উদ্ধার করা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত্যু হয় আরও ১৪০ জনের। তাদের মধ্যে রয়েছেন ২ জন পুলিশকর্মী সহ বেশ কয়েকজন শিশুও।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে পাওয়া খবর অনুসারে জানা জানিয়েছে, মাঠে নিরাপত্তা বাহিনী ও সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। এই সময় ভক্তরা নিরাপত্তা কর্মীদের লক্ষ্য করে নানান জিনিস ছুড়তে থাকেন তারা। এরপর ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। এতে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। যার ফলে ধোঁয়ার মেঘ তৈরি হয়েছিল। জানা যায় এটিও পদদলিত হওয়ার অন্যতম একটি কারণ বলেই মনে করছেন মাঠে উপস্থিত অনেকেই।
আরও পড়ুন: মুহূর্তেই আনন্দ বদলে গেল বিষাদে, ভয়াবহ দুর্ঘটনা কাড়ল ২৪ তাজা প্রাণ, শোকে ভাসল গোটা এলাকা
এলআইবি এর সভাপতি আখমাদ হাদিয়ান লুকিতা ইন্দোনেশিয়ার এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেছেন “আমরা এই ঘটনার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং দুঃখিত। এই হিংসার ঘটনায় যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পরিবারের প্রতি আমরা আমাদের সমবেদনা জানাই এবং আশা করি এটি আমাদের সকলের জন্য একটি বড় শিক্ষা । আগামীদিনে এই শিক্ষা থেকে আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে”।