এখন পর্যন্ত দেশের কোন রাজ্য সরকার যা ভাবেননি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, বা বলা ভালো রাজ্য পরিবহন দপ্তর, সেই ধরণেরই একটি ভাবনা নিয়ে নাড়াচাড়া করছে। বিষয়টি হলো, সরকারি উদ্য়োগে অ্য়াপ ক্য়াব চালু করার ভাবনা।
প্রাথমিক ভাবে গতিধারা প্রকল্পের অন্তর্গত গাড়িগুলিকে এই অ্যাপ ক্যাব প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এই প্রকল্প এখন পর্যন্ত আলোচনার পর্যায়েই রয়েছে। তবে সরকারি এই ভাবনা কার্যকর হলে উপকৃত হবেন বহু সাধারন যাত্রী।
এর আগে ২০১৬ সালে বেঙ্গল ট্য়াক্সি অ্য়াসোসিয়েশন অ্য়াপ ট্য়াক্সি চালু করার জন্য় রাজ্য় পরিবহণ দপ্তরের কাছে আবেদন করেছিল। তার ফলে ঢাকঢোল পিটিয়ে একটি সংস্থার উদ্য়োগে হলুদ ট্য়াক্সির জন্য অ্য়াপ চালুও করা হয়। মেরেকেটে ১৫ দিনের মাথায় হলুদ অ্য়াপ ট্য়াক্সি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তখন স্থির হয়েছিল স্রেফ মিটারের ভাড়া এবং ফোন কলের টাকা নেওয়া হবে যাত্রীদের কাছ থেকে। এছাড়া অন্য় কোনও খাতে টাকা নেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কম ইন্টারনেট স্পিডেই দিব্যি খুলবে উবার অ্যাপ
বেঙ্গল ট্য়াক্সি অ্য়াসোসিয়েশনের কর্তা বিমল গুহ বলেন, "রাজ্য় পরিবহণ দপ্তর আমাদের অ্য়াপ ট্য়াক্সি চালু করার অনুমতি দিয়েছিল। এক বছর আগে আমরা প্রথমে ১০ টি গাড়ি নিয়ে অ্য়াপ মারফত পরিষেবা চালু করেছিলাম। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্য়ে তা বন্ধ করে দিতে হয়। ট্য়াক্সির অধিকাংশ চালক বেপরোয়া। মিটারে বিল নিতে হবে বলে ইচ্ছামত ভাড়া নিতে পারতেন না। তাই তাঁদের উৎসাহ কম ছিল। তবে সরকারি উদ্য়োগে অ্য়াপ ক্য়াব চালু হলে সেই উদ্যোগ স্বাগত।"
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে আরও খবর, সাধারন যাত্রীদের কথা ভেবেই অ্য়াপ ক্য়াব চালু করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে। এই ক্য়াবের ক্ষেত্রে সারচার্জ থাকবে না। রাখা হবে না কমিশন প্রথাও। এর ফলে একদিকে যেমন যাত্রীরা সুবিধা পাবেন, তেমনি চালকদেরও ঝঞ্ঝাটে পড়তে হবে না। পরিবহণ দপ্তরের উদ্য়োগে এই অ্য়াপ ক্য়াব চালু করা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হলেও কবে তা বাস্তবায়িত হবে তা এখনও জানা যায়নি। যাত্রীরা মনে করছেন, সরকারি উদ্য়োগে অ্য়াপ ক্য়াব চালু হলে ওলা এবং উবেরের হঠাৎ করে ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার কারবারে লাগাম টানা যাবে।