বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা, কঠোর সুপ্রিম কোর্ট, ধর্ম থেকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার নিদান। বিদ্বেষমূলক বক্তব্যর কড়া সমালোচনা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি ঘৃণাত্মক বক্তৃতা দেওয়ার বিষয়ে কঠোর মন্তব্য করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, কেন এই ধরনের লোকেরা নিজেদেরকে সংযত করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট আরও প্রশ্ন তুলেছে করেছে কেন এই ধরনের মানুষ কোনও নাগরিক বা সম্প্রদায়কে অপমান করে? কবে তারা তাদের এই ধরণের বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা বন্ধ করবে যা সমাজ এবং দেশের পক্ষে ক্ষতিকর!
ধর্মকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখুন: সুপ্রিম কোর্ট
রাজনৈতিক বক্তৃতায় ধর্মের ব্যবহার প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যে মুহূর্তে দেশের রাজনীতিবিদরা ধর্মকে টেনে এনে রাজনীতি করতে শুরু করেছেন। যে মুহূর্তে ধর্ম থেকে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রাখা হবে, সেই মুহুর্ত থেকে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে মামলা্রও অবসান হবে।
সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে: বিচারপতি কে এম জোসেফ
কয়েক মাস আগেও বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কে এম জোসেফ বলেছিলেন, "এটা একবিংশ শতাব্দী। ধর্মের নামে আমরা কোথায় চলে এসেছি? আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ ও সহনশীল সমাজের অংশ হওয়া উচিত, কিন্তু আজ সেখানে ঘৃণার পরিবেশ।" উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন যে সামাজিক পরিকাঠামো ভেঙে যাচ্ছে। পাশাপাশি এদিন সুপ্রিম কোর্ট বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিপ্তে প্রশ্ন তুলেছে 'শুধু এফআইআর দায়ের করে কিছুই হবে না, কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটাই আদালতের সামনে তুলে ধরুন বলুন', বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ে কেন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে ঘৃণামূলক বক্তব্য ত্যাগ করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রশ্ন করে শুধুমাত্র এফআইআর দায়ের করলেই বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সমস্যার সমাধান হবে না, এর জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আদালত বলেছে, "ঘৃণাত্মক বক্তব্যের সঙ্গে কোনপ্রকারের আপস করা যাবে না।" দেশ যদি বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের সমস্যা মেনে নেয়, তবেই তার সমাধান সূত্র মিলবে। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, এ ধরনের জঘন্য অপরাধ থেকে নাগরিকদের রক্ষা করা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাথমিক দায়িত্ব।