সুরাটে একটি আবাসিক সম্পত্তির ছাদে নির্মিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তির মতো একটি মন্দির। (ভিডিও গ্র্যাব)
২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্টা মহোৎসবের দিন ভারুচের অঙ্কলেশ্বরের এক ব্যবসায়ী তার বাড়ির ছাদে ভগবান রাম, সীতা, লক্ষ্মণ এবং হনুমানের মূর্তি সহ একটি মন্দির তৈরি করেন। সঙ্গে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মূর্তিও। ছাদে মন্দির নির্মাণের কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলেই দাবি স্থানীয় মানুষের। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ভারুচ-অঙ্কলেশ্বর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BAUDA)তে ইতিমধ্যে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু খোদ মোদী রাজ্যে মোদী মূর্তি ভাঙবে কার সাধ্যি? ফলে অভিযোগ পাওয়ার পরও নীরব দর্শকের ভূমিকায় ভারুচ-অঙ্কলেশ্বর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BAUDA)কর্তৃপক্ষ।
Advertisment
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহনলাল গুপ্ত, গত বছর এই সম্পত্তিটি কেনেন বলেই জানা গিয়েছে। তিনি এই ভবনের ছাদের অতিরিক্ত একটি ফ্লোর তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেখানেই তিনি তিনি এখন ভগবান রাম, সীতা এবং লক্ষ্মণের মূর্তি সহ একটি "মন্দির" তৈরি করেছেন৷ সঙ্গে প্রহরী হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মূর্তি।
গ্রামের বাসিন্দা মনসুখ রাখসিয়ার অভিযোগের পর BAUDA আধিকারিকরা ভবনটি পরিদর্শন করার পরেই এই ঘটনা সামনে আসে। ছাদের মন্দির সম্পর্কে অভিযোগের পরে, BAUDA আধিকারিকরা মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দেখেন যে গুপ্তা পূর্ব অনুমতি ছাড়াই একটি অতিরিক্ত একটি ফ্লোর তৈরি করেছেন।
Advertisment
এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে সাত দিন সময় দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে ওই ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র ওঝার কাছ থেকে তিনি গত বছর সম্পত্তিটি কিনেছিলেন, অতিরিক্ত ফ্লোরের অনুমতি ২০১২ সালে স্থানীয় পঞ্চায়েতের থেকে নেওয়া হয়েছে। গুপ্তা অভিযোগ করেছেন কিছু মানুষ মোদী-যোগীর মূর্তি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়েই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'তারা আমাকে কাঠামো ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। তারা আমার কাছে টাকাও দাবি করেছে"।
ভারুচ-অঙ্কলেশ্বর আরবান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (BAUDA)কর্তৃপক্ষের তরফে নীতিন প্যাটেল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন যে তারা গুপ্তাকে প্লটের প্রয়োজনীয় নথি এবং অন্যান্য বিবরণ জমা দেওয়ার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে । সাত দিন পর, গুপ্তের জমা দেওয়া নথির ভিত্তিতে, পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে,"।
ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে যিনি অভিযোগ এনেছেন তিনি দাবি করেছেন, , কর্তৃপক্ষ গ্রামে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, "আমরা ভারুচের জেলাশাসক তুষার সুমেরা এবং মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলকেও এই বিষয়ে চিঠি দিয়েছি এবং দাবি করেছি অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত,"। এদিকে গুপ্তার অভিযোগ, অভিযোগকারী তাকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছেন। "আমি ছাদে মন্দির তৈরি করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইউপির মুখ্যমন্ত্রী যোগীজির মূর্তি স্থাপন করেছি। আমি বিশ্বাস করি তারা এটি পছন্দ করেননি। তারা আমাকে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। আমি জেলা কর্তৃপক্ষকে সবটাই জানিয়েছি।