Advertisment

'স্রেফ বাড়িতে বসে করোনা করোনা বললে তো আর কাজ হবে না'

মহারাষ্ট্র, গুজরাট, এবং পশ্চিমবঙ্গেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই তিন রাজ্যকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রও। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
gujarat deputy cm coronavirus

গুজরাটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল

আগামী ১৭ মে'র পর লকডাউনে উল্লেখযোগ্য শিথিলতার ইঙ্গিত দিয়ে গুজরাটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী নীতিন প্যাটেল বৃহস্পতিবার বলেন, Covid-19 মহামারীর ভয়ে মানুষ আর বাড়িতে বসে থাকতে পারবেন না, এবং গুজরাটিদের জীবিকার স্বার্থে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজকর্ম দ্রুত চালু করা প্রয়োজন।

Advertisment

"দুনিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করোনাভাইরাস মহামারী আমাদের মাঝেই থাকবে দীর্ঘসময় ধরে... সুতরাং গুজরাটের ৬.৫ কোটি বাসিন্দার স্বার্থ এবং জীবিকার বিষয়টাও জরুরি। এখন পর্যন্ত আমরা কড়াভাবে লকডাউন বলবৎ করেছি। কিন্তু এবার সময় এসেছে যেখানে আমরা করোনাভাইরাসের সঙ্গে পরিচিত হয়ে গেছি... এখনও যদি ব্যবসা, চাকরি, কৃষি, পশুপালন, এবং মজুরির কাজ বন্ধ রাখা হয়, তবে শুধুমাত্র কোনও ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের নয়, রাজ্যের অর্থনৈতিক অবস্থাও বেহাল হয়ে পড়বে। সেটা হতে দেওয়া যায় না। আমরা ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করব, এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপে উৎসাহ যোগাব," স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে জানান প্যাটেল।

আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমিকদের পায়ে হাঁটা আটকাতে পারে না আদালত, জানাল সুপ্রিম কোর্ট

বৃহস্পতিবারই আহমেদাবাদের এসজি হাইওয়ের ছ'টি ভাগ নির্মাণ করার কাজ পরিদর্শন করার ব্যাপারে প্যাটেল বলেন, "হাজার হাজার শ্রমিক, দিনমজুর, ঠিকাদারদের কাজে যোগ দেওয়াটা জরুরি, তাঁদের জীবিকা বজায় রাখা জরুরি, রাজ্যের প্রকল্পগুলির কাজ চালু হওয়া জরুরি। স্রেফ বাড়িতে বসে 'করোনা করোনা' বললে তো আর কাজ হবে না... দেশের উদ্দেশে তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে লকডাউনের চতুর্থ পর্ব অন্যরকম হবে, আরও শিথিল করা হবে, ব্যবসা এবং কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে।"

আরও পড়ুন: গুজরাট ও বাংলা: করোনা যুদ্ধে দুই রাজ্যে কেন লাল সতর্কতা

প্যাটেল আরও বলেন, "ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেই কাজকর্ম শুরু করতে হবে... ভাইরাস যাতে না ছড়ায়, তার জন্য মানুষকে সুরক্ষাবিধিও বজায় রাখতে হবে।"

উল্লেখ্য, দেশে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, এবং পশ্চিমবঙ্গেই করোনার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই তিন রাজ্যকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রও।

এদিকে শুক্রবার ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১,৯৭০ জনে, জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসাধীন ৫১,৪০১ জন, সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৭,৯১৯ জন। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৬৪৯। সারা বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment