হনুমানের নিত্য নতুন পরিচয় নিয়ে সরগরম দেশের ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ মহল। কেউ বলছেন তিনি মুসলমান ছিলেন, কেউ বলছেন হিন্দু। তৎক্ষণাৎ সে তত্ত্ব নাকচ করে অন্য কেউ বলছেন তিনি দলিত ছিলেন, অমনি প্রতিবাদে রুখে উঠছেন একদল। এবার সেই বিতর্কে জড়াল আরও একটি নাম - চেতন চৌহান। এ বার উত্তরপ্রদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী দাবি করলেন, “হনুমান একজন ক্রীড়াবিদ, কুস্তীগির ছিলেন”।
৭১ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার রবিবার বলেন, “ভারতের সব খেলোয়াড়রাই হনুমানজির পুজো করেন। এর সঙ্গে হনুমানের জাত বা ধর্মের কোনও সম্পর্ক নেই।”
দিন কয়েক আগেই উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী চৌধুরি লক্ষ্মী নারায়ণ দাবি করলেন, “হনুমান একজন জাঠ ছিলেন। যে কারণে কোথাও কারও উপর কোনো রকমের অবিচার তিনি সহ্য করতেন না”। বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশেরই এক বিজেপি কাউন্সিলার এএনআইয়ের কাছে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি হনুমান একজন মুসলিম ছিলেন। এই কারণেই হনুমানের সঙ্গে মিলিয়ে মুসলিমদের নাম রাখা হয় রমজান, ফরমান, কুরবান। এই সমস্ত নামই হনুমানের সঙ্গে মিলে যায়”।
আরও পড়ুন, দলিত-মুসলিম-জৈন নয়, হনুমান এবার ‘জাট’!
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, হনুমানের আসল পরিচয়, তিনি দলিত ছিলেন।
হনুমানের পরিচয় নিয়ে 'ছিনিমিনি' খেলায় আপত্তি রয়েছে একটা বড় অংশের ভক্তের মধ্যে। অযোধ্যার নির্মোহী আখড়ার মহন্ত রামদাস পিটিআইয়ের কাছে জানিয়েছেন, “ঈশ্বরের বিরুদ্ধে এমন অসম্মানজনক মন্তব্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক মুনাফার লোভে ঈশ্বরের নাম টেনে নিয়ে আসছেন”।
অযোধ্যার হনুমানগরি মন্দিরের মোহন্ত রাজু দাসেরও একই বক্তব্য, "জাতি ধর্ম নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ পুজো করে হনুমানকে। তাঁকে নিয়ে রসিকতা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ"।
Read the full story in English