আবারও উত্তেজনা দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে। সোমবার দুপুরে একটি বাড়ি থেকে হঠাৎই পাথর উড়ে আসতে থাকে। শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা বেরনোর পর ঠিক যে এলাকায় সংঘর্ষ প্রথম শুরু হয়, সেখানকারই একটি বাড়ির ছাদ থেকে আচমকা পাথর উড়ে আসতে থাকে। সোমবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়।
শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী এলাকা। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হন ৬ পুলিশ আধিকারিকও। শনিবারের পর সোমবার দুপুরে ফের ওই একই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ ও RAF-এর কর্মীরা গোটা এলাকা দ্রুত ঘিরে ফেলেন। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির ডিসিপি উষা রংগ্রানি জানিয়েছেন, এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের পদস্থ এই অফিসার বলেন, “রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও-য় দেখা যায় ১৬ এপ্রিল জাহাঙ্গিরপুরীতে দাঙ্গার সময় এক ব্যক্তি (নীল কুর্তা পরা) গুলি চালাচ্ছেন। পুলিশ সিডি পার্ক রোডে তার বাড়িতে গিয়েছিল। ওই ঘটনার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই গিয়েছিল পুলিশ। ওই পরিবারের সদস্যরা পাল্টা পুলিশকেই ধাওয়া করে। এমনকী তাঁদের পাথরও ছোড়া হয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।''
আরও পড়ুন- দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ, ধৃতদের অনেকের নামেই অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড রয়েছে
এদিকে, এই ঘটনার পর এদিন দুপুর থেকে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। বিশাল সংখ্যক পুলিশ, RAF এবং সিআরপিএফ বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। একটি গলির মুখ থেকেই পাথর উড়ে আসতে থাকে। পুলিশ ওই গলির মুখে ব্যারিকেড বসিয়ে দেয়।
এদিকে, শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতে হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার বেড়ে ২১। এছাড়া ২ নাবালককেও আটক করা হয়েছে। দাঙ্গা বাঁধানো ও বেআইনিভাবে জমায়েতের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে অভিযুক্তদের মধ্যে একজন যিনি একটি মোবাইল ফোন সারানোর দোকানে কাজ করেন, তিনিই প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। তার অপরাধমূলক কাজের রেকর্ডও রয়েছে।
Read story in English