জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেছেন যে পুলিশ তাদের জানিয়েছে যে এই জাতীয় সম্পত্তি বিক্রি করে সন্ত্রাসবাদে অর্থের যোগান দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে সরকারি জমি দখলের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন একটি আদেশ জারি করেছে, নির্দেশে বলা হয়েছে নিখোঁজদের কৃষি জমি তাদের পরিবারের সদস্যরা কাউকে যাতে বিক্রি না করে্ন। পাশাপাশি প্রশাসন বলেছে, এসব জমিতে উৎপাদিত ফসলের আয় যেন অপর কেউ ব্যবহার না করে। জম্মু ও কাশ্মীরে কৃষিজমি ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থের জোগান দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি প্রশাসনের।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের 'মৃত' হিসাবে ঘোষণা করার পাশাপাশি, পরিবারের কেউ এই জাতীয় জমি অন্য কাউকে যাতে বিক্রি করতে না পারে তার জন্যও এক নির্দেশ জারি করেছে জম্মু প্রশাসন। ৩১ জানুয়ারি জারি করা এক আদেশে বলা হয়েছে সন্দেহ করা হচ্ছে যে এই ধরনের সম্পত্তি সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: < প্লাস্টিক বোতল থেকে তৈরি ‘জ্যাকেট’ গায়ে সংসদে মোদী, দাম শুনলে চমকে উঠবেন >
সূত্রের খবর এই কৃষিজমির মালিকরা বেশিরভাগই পাকি অধিকৃত কাশ্মীরে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। এর মধ্যে কিছু লোকের জমিও রয়েছে যারা সন্ত্রাসের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে সন্দেহ পুলিশ প্রশাসনের। বছরের পর বছর ধরে নিখোঁজ থাকলেও জমি থেকে প্রাপ্ত অর্থ তারা সন্ত্রাসবাদের কাজে লাগাচ্ছে।
সাম্প্রতিক তদন্তের সময় দেখা গিয়েছে বারামুল্লা জেলায় কিছু জমি রয়েছে যাদের কোন সন্ধান নেই। এই জমিতে উৎপাদিত ফসলের কোনও অংশও তাদের পরিবারের কেউ পাচ্ছেন না।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেছেন যে পুলিশ তাদের জানিয়েছে যে এই জাতীয় সম্পত্তি সন্ত্রাসবাদে অর্থ সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। "এটি মাথায় রেখে, এই জাতীয় প্লটগুলি চিহ্নিত করার এবং সেগুলি যাতে অপব্যবহার না করা হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আদেশ জারি করা হয়েছে,"। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে নির্দেশে বলা হয়েছে সাত বছরের বেশি নিখোঁজ থাকলে জমির মালিককে মৃত বলে গণ্য করা হবে।
এই নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও জমির মালিক গ্রাম থেকে অনুপস্থিত থাকেন এবং সাত বছরের বেশি সময় ধরে জমি চাষ না করেন বা ফসল ভাগ না করেন তবে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়া হবে।তবে আদেশে স্পষ্ট করা হয়েছে যে এই নির্দেশ জম্মু-কাশ্মীরে বাসিন্দাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যারা ভিন রাজ্যের থেকে এখানে এসে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়।