‘বাধা’ পেরিয়ে অবশেষে আজ শবরীমালা মন্দিরে পা রাখতে চলেছেন সেই ৪ রূপান্তরকামী। শেষ খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই পাম্বায় পৌঁছে গিয়েছে রূপান্তরকামীদের দল। মন্দির যাওয়ার পথে পাম্বাতে বেস ক্যাম্প। গত রবিবার আয়াপ্পা দর্শনে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন ওই ৪ জন রূপান্তরকামী। পুলিশের ‘আপত্তি’-তে শেষ পর্যন্ত মন্দির দর্শন না করেই মাঝপথে ফিরতে হয় তাঁদের। শুধু তাই নয়, মন্দির দর্শন নিয়ে তাঁদের পুলিশি হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে সোমবার ডিজির সঙ্গে কথা বলেন অনন্যা, তৃপ্তি, অবন্তিকা, রঞ্জুমলরা। হাইকোর্ট নিযুক্ত প্যানেলে রয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। রূপান্তরকামীদের মন্দিরে প্রবেশাধিকার নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখে প্যানেল। তারপরই তাঁদের আয়াপ্পা দর্শনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, রবিবার এরনাকুলাম থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন অনন্যরা। কিন্তু এঁরা মন্দিরে ঢুকলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এই যুক্তি দেখিয়ে অনন্যাদের পথ আটকায় পুলিশ।
আরও পড়ুন, শবরীমালা মন্দিরে ঢুকতে ‘বাধা’ ৪ রূপান্তরকামীকে
সংবাদসংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা গিয়েছিল, রবিবার শবরীমালা মন্দির যাওয়ার পথে এরুমেলিতে ৪ জন রূপান্তরকামীকে আটকায় পুলিশ। মন্দির যাওযার পথে প্রথম বেস ক্যাম্প এরুমেলিতেই। সেখান থেকেই তাঁদের ফিরে যেতে বলা হয়। অনন্যা নামের এক রূপান্তরকামীর অভিযোগ, তাঁদের পুলিশি হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘শনিবার এরনাকুলাম থেকে আমরা যাত্রা শুরু করি। যখনই আমরা এরুমেলিতে পৌঁছালাম, তখন পুলিশ আধিকারিকরা দুর্ব্যবহার করেন আমাদের সঙ্গে। মহিলা পুলিশ কর্মী যাঁরা ছিলেন তাঁরাও।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘প্রথমে ওঁরা বলেন, মহিলাদের পোশাক পরে মন্দিরে ঢোকা যাবে না। পুরুষদের পোশাক পরে যেতে হবে। প্রথমে রাজি না হলেও পরে আমরা মত বদলে পুরুষদের পোশাক পরার কথা ভাবি। কিন্তু পুলিশকর্মীরা তখন ফিরে যেতে বলেন।’’
এদিকে, মন্দির যাওয়ার জন্য নিরাপত্তা চেয়ে কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে তামিলনাড়ুর ৩০ জন মহিলার একটি দল। ওই মহিলাদের সকলেরই বয়স পঞ্চাশের মধ্যে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর তাঁরা মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তবে ওই মহিলাদের আয়াপ্পা দর্শনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে কিনা সে নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ।
Read the full story in English