/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/Heavy-rain-1.jpg)
ঘূর্ণিঝড় 'বিপর্যয়' স্থলভাগে আছড়ে পড়ায় গুজরাটের বিভিন্ন শহরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় আছড়ে পড়ায় গুজরাটের কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই বৃষ্টিপাত মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ রাতেই জাখাউ বন্দরের (গুজরাট) কাছে মান্ডভি (গুজরাট) অর্থাৎ কচ্ছ এবং সৌরাষ্ট্র এবং করাচি (পাকিস্তান)-এর উপকূল অতিক্রম করবে। যার জেরে কচ্ছ, দেবভূমি দ্বারকা এবং জামনগর অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। গুজরাটের পোরবন্দর, রাজকোট, মোরবি এবং জুনাগড় জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সৌরাষ্ট্র এবং উত্তর গুজরাট অঞ্চলের অবশিষ্ট জেলাগুলোয় বিচ্ছিন্ন ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
গুজরাট সরকার এখনও পর্যন্ত আটটি উপকূলীয় জেলায় বসবাসকারী ৯৪,০০০-এরও বেশি মানুষকে অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরে স্থানান্তরিত করেছে। আদেশ জারি করে গণপরিবহণ বন্ধ করে দিয়েছে। সাধারণ বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ) এবং গুজরাট বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) এর দুটি দলকে গুজরাট উপকূলে মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় বায়ুসেনার বিপর্যয় মোকাবিলী বাহিনীকে আপাতত স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
তার মধ্যেই প্রবল বাতাস এবং অবিরাম বৃষ্টিপাতের জেরে দেবভূমি দ্বারকায় গাছ উপড়ে কমপক্ষে তিন জন আহত হয়েছেন। কচ্ছ জেলার জাখাউ এবং মান্ডভি শহরের কাছে অনেক গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। টিনের ছাদ উড়ে গিয়েছে। তবে, সন্ধে ৭টা পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংঘভি। তিনি বলেন, 'দ্বারকায় আহত তিনজনের চিকিৎসা করা হচ্ছে। গুজরাট পুলিশ, এনডিআরএফ এবং সেনাবাহিনী উপড়ে পড়া গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি সরাচ্ছে। দ্বারকার সব জায়গা থেকেই বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ সরানো হচ্ছে।'
আরও পড়ুন- ঘূর্ণিঝড়ে আর আগের মত প্রাণহানি ঘটে না, কীভাবে হল এই অসাধ্যসাধন?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বিকেল ৪টা ৩০-এ আছড়ে পড়েছে। তার আগে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গুজরাট উপকূলের দ্বারকা, ওখা, নালিয়া, ভুজ, পোরবন্দর ও কান্ডলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে শক্তিশালী বাতাস বয়ে গিয়েছে।