Advertisment

দেশ ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দ্বীপরাষ্ট্রে

প্রেসিডেন্টের দেশ ছাড়ার খবর কাতারে কাতারে বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিঙ্ঘের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
গোটাবায়া পালিয়েছেন, তাঁর প্রাসাদ এখন আম জনতার চারণভূমি

দেশ ছেড়েছে প্রেসিডেন্ট! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দ্বীপরাষ্ট্রে

অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দ্বীপরাষ্ট্রে। সরকার বিরোধী বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে শ্রীলঙ্কা। দিন কয়েক আগেই দ্বীপরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা। তার আগেই প্রাসাদ ছেড়ে সপরিবারে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ। জ্বালিয়েও দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন। গতকাল গভীর রাত্রে প্রেসিডেন্টের দেশ ছাড়ার খবরে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করে।

Advertisment

শ্রীলঙ্কার বহু প্রদেশেই জারি করা হয়েছে কারফিউ। প্রেসিডেন্টের দেশ ছাড়ার খবর কাতারে কাতারে বিক্ষোভকারী প্রধানমন্ত্রী রণিল বিক্রমসিঙ্ঘের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভ প্রশমিত করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়েছে। পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। এদিকে দেশের  অর্থনৈতিক সংকট আরও তীব্র হচ্ছে।

লিটার পেট্রোলের দাম ৩ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। রান্নার গ্যাস বিকোচ্ছে সিলিন্ডার প্রতি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে।  প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্টের যাবতীয় কাজকর্ম চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপক্ষ এই মুহূর্তে আশ্রয় নিয়েছেন মালদ্বীপে। সেখান থেকে আজ বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে উড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। গত কয়েক মাস ধরেই শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট তীব্রতর হয়েছে। মিলছে না জ্বালানি। নেই পর্যাপ্ত ওষুধ। এমন অবস্থায় জনরোষ এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাতে করে বিক্ষোভ আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও বিক্ষোভকারীদের লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে। আগামী ২০ জুলাই নয়া শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে বলে বুধবার জানিয়েছেন সে দেশের পার্লামেন্টের স্পিকার য়ুপা অবেবর্ধনে। রাজধানী কলম্বো-সহ পশ্চিম শ্রীলঙ্কায় অনির্দিষ্ট কালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। তাদের দাবি রাজাপক্ষেকে দেশে ফিরিয়ে এনে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। শ্রীলঙ্কান বিমান বাহিনী সূত্রে খবর যে তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদনের পরে মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের জন্য একটি বিমানের ব্যবস্থা করেছে।

আরও পড়ুন: <ওষুধ নেই, কেউ যেন অসুস্থ না-হয়, ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা শ্রীলঙ্কার চিকিৎসকদের>

সেদেশের মিডিয়ার দাবি বিমানে উড়ে মালদ্বীপ যাওরা সময় বিমানে থাকা চার যাত্রীর মধ্যে ছিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে, তাঁর স্ত্রী এবং তাদের দুই দেহরক্ষী। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া "মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার” গেহান মেলরয়, সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন “দেশের জনগণ প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর অপসারণের দাবি করছে আমরা চাই সম্পূর্ণ নতুন এক সরকার”।

প্রেসিডেন্টকে শ্রীলঙ্কা থেকে ভিনদেশে পালাতে ভারত সাহায্য করেছে বলে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এক টুইট বার্তায় এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়।

Sri Lanka Gotabaya Rajapaksa
Advertisment