স্বস্তির চেয়ে অস্বস্তির বৃষ্টি তা বলাই বাহুল্য। গতকাল মঙ্গলবার দুদফায় কালবৈশাখির উপদ্রবে তোলপাড় একাধিক এলাকা। ৮৪ থেকে ১০০ কিমি বেগে ঝড় বয়ে যায় কলকাতার ওপর দিয়ে। যার জেরে ভেঙে পড়ে বহু বাড়ি ও গাছ। সূত্রের এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবরে এই তান্ডবে রাজ্যজুরে নিহত প্রায় ১২ জন। গাছ ভেঙে পড়ায় শহর জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে মেট্রো ও রেল পরিষেবা। ব্যহত হয় বিমান পরিষেবাও,যার জেরে অসুবিধায় পড়ে নিত্যযাত্রী।
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার রাতের কালবৈশাখির পর স্বস্তির আবহাওয়া সকালে
মঙ্গলবার ঝড়ের তান্ডবে ভোগান্তি নিত্য যাত্রীদের
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর প্রথমদফার ঝড় হয় ৭টা ৪০ নাগাদ। দ্বিতীয়বার ঝড়ের গতিবেগ বাড়লেও তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিল না । ২০০৯ সালে আয়েলার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৩ থেকে ১২০ কিলোমিটার। তাতে ক্ষয়ক্ষতির ছবিও ছিল ভয়ানক। তবে গতকালের দ্বিতীয় ঝড়টি আরও কিছুক্ষণ থাকলে আরও ভয়াবহ হতে পারত পরিস্থিতি। প্রায় ৭২ বছর পর এমন বিধ্বংসী কালবৈশাখী দেখল শহরবাসী।
গতকাল লেনিন সরণিতে বাড়ি ভেঙে পড়ে অটোর ওপর। মৃত্যু হয় অটো চালক সহ যাত্রীর তাদেরমধ্যে একজন শিশুও ছিল। অন্যদিকে সল্টলেক থেকে জাপানিগেটগামী চলতি মিনিবাসের ওপর ভেঙে পড়ে গাছ। স্ট্যান্ড রোডে বহু গাছ ভেঙে পড়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সেই রাস্তাও। হাওড়া স্টেশনের ১৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের ছাদে গতকাল ভেঙে পড়ে বঙ্কিম সেতু রেলিংয়ের একটি অংশ। বহু জায়গায় ওভারহেডের তার ছিড়ে যাওয়ায় পূর্ব রেলের হাওড়া-শিয়ালদহ লাইনে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। এই ঝড়ের সুযোগে একচেটিয়া ব্যবসা করেছে অ্যাপ ক্যাব। যে রাস্তায় সাধারন দিনে ভাড়া হয় ১০০ থেকে ১১০ টাকা। কাল সেই রাস্তায় শহরবাসী পার করেছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।